রুবাই ১১৬, ১১৭, ১১৮, ১১৯, ১২০
——————————————- রমিত আজাদ
১১৬।
বুভুক্ষু কোন মন জুড়ে আজ মেঘ জমেছে অনেক দূর,
ক্ষুধার্ত তাই হাতড়ে বেড়ায়, অস্থিরতার স্বপ্নসুর।
দিনবদলের আলোছায়ায় পূর্ণিমা চাঁদ সোমেশ্বর!
ঘুমকাতুরে জোয়ান ব্যাটা নিজ ঘোষণায় রাজেস্বর!
১১৭।
শেষ চুম্বন, শেষ চুম্বন, সেই তো ছিলো শুরু,
যন্ত্রণা আর অস্থিরতার পুষ্প হলো তরু!
ফুলশয্যা দূর প্রবাসে অধর ছোঁয়ায় লেখা,
পরদেশী এক শেতাঙ্গীনীর বুকের ব্যাথায় আঁকা।
১১৮।
কে হেরেছে? কে জিতেছে? বিজয় কাহার হলো?
খেলা নাকি লড়াই হলো, ধন্দ থেকেই গেলো?
নয়ন জলে ভাসলো জীবন, কেমন তরো এই বিজয়?
দম্ভ-নিশান লুট্লো ধুলায়, দীপ-নেভা এক পরাজয়!
১১৯।
ছিন্নমালা ধুলায় লুটায়, প্রসূন শুকায় হায়,
মায়ায় ভরা এই ধরাতে হৃদয় শশ্মান হয়!
বুক ভাঙানো কান্না চেপে মনের মানুষ যায়!
ভবের খেলার এই দুনিয়ায় আমরা অসহায়!
১২০।
আসলে যে ডাক যেতেই হবে আঁধার গোরখানায়,
হাসনাহেনা যতই ফুটাই প্রাসাদ মলয় নিরালায়।
মিছেই মোরা মায়া বাড়াই, ভরি ভাঁড়ার ভাণ্ডারী,
দিন থাকতে হিসাব নিও, সমঝে চলো কান্ডারী।
রচনাতারিখ: ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: দুপুর ২ টা ২৯ মিনিট
——————————————————————–