— সাকি বিল্লাহ্
অবশেষে ফিরে এলাম
সাত সমুদ্র আর তের নদী
আর এক বির্স্তীন মরুভূমি পার হয়ে_
কোথাও যেন কেউ নেই
অবশেষে ফিরে এলাম মনের গভীর থেকে
অদ্ভুদ এক চোখের ইশাঁরায়
হাতে একগুচ্ছ রজণীগন্ধা আর-
অবশেষে ফিরে এলাম।
তাকিয়ে থেকে থেকে চোখ পাথর হয়েছে আমার,
তোমারই হরিণী চোখের পানে ।
যখন হাতে নিয়ে ছিলাম
এক মুঠো মরুদ্দুর আর তখনই তুমি এলে,
যখন হাতে ছিল একরাশ ক্যামেলিয়া
তখন তুমি এলে
আর আমি _
অবশেষে ফিরে এলাম ক্লান্ত কোনো বিকেলে
হাজারো স্বপ্ন নিয়ে, পাথর চোখে,
নীল বারি স্পর্শ করে করে
আর হাতের কাঁকন রিনঝিন রিনঝিন
আওয়াজে তুমি এলে
তাই আমিও ফিরে এলাম
চৈত্রের দুপুরে কোকিলের কুহু গানে
অবশেষে ফিরে এলাম
শান্ত কোনো নদের পাশে
কাকতাড়ুয়ার মত দাড়িয়ে থেকে,
যখন তুমি বললে,
তখনই ফিরে এলাম
পাখি আর গানে, কবিতার তানে
তোমার কোমলতার কারনে
অবশেষে ফিরে এলাম
তোমারই কারনে।
আধ রাতে যখন চাঁদ ঝরে পড়ে
অথবা হাসনা হেনার সুবাস বয়
তখন তুমি নিঃস্ব হয়ে বসে
আর আমি ফিরে আসি অবশেষে।
হাতুরির শব্দে, হাপরের নিশ্বাঁসে
যখন বৈশাখের দুপুর হল
তখন অগ্নি স্ফুলিঙ্গে
আমি ফিরে এলাম।
তোমার অপেক্ষায় থেকে থেকে,
যখন অরণ্য সব মরুভুমি হল
পোকা মাকড়ে ভরে গেল ঘর
তখন তুমি এলে,
হাতে একটি সবুজ গোলাপ নিয়ে
কিণ্তু আমি আর ফিরে এলাম
নিস্প্রাণ সজীবতার উৎস হয়ে
ঝিরি ঝিরি বাতাসের ভেলায়
বর্ষার প্রথম দিকে, মেঘান্ন বিকেলে
অবশেষে ফিরে এলাম ।
ধুমকেতু হয়ে চলে ছিলাম যখন
ধোয়ার কুন্ডুলী পাকিয়ে
তখন বলেছিলাম তোমায় সাথী হতে আর তুমি_
তাই অবশেষে ফিরে এলাম
নিদারুণ এক কষ্ট আর
যন্ত্রণার ভিতর দিয়ে
অদৃশ্য কোনো অবস্থান নিয়ে
দৃশ্যপটে আঁকা তোমার সে ছবি
মিছি মিছি আমি ভাবছিলাম(হা..হা..)
তাই তোমার অপেক্ষায়
থেকে থেকে যখন ফিরে এলাম
তখন আমার আর কিছুই থাকল না
চোখের ভিতরে শুধু দুঃস্বপ্ন
মনের ভিতরে বাসা বেধেঁছে কেউ
চোখ নেই, দেখছি না কিছুই,
কঙ্কালসার এই দেহটাকে
নিয়ে ফিরে এলাম
অবিশ্বাস্য সব বিশ্বাস নিয়ে
ফিরে এসে তোমার হাতে
হাত রাখলাম,
তুমি ভাবলে জ্যোছনা
অথবা ভাবলে একপসলা বৃস্টি,
র্স্পশ করলে আমায় এক মুঠো রুদ্দুরে
কোকিলের কুহু গানে অথবা
ভাদ্রের ঝিরি বাতাসকে
র্স্পশ করে তুমি ভাবলে
আমি ফিরে এলাম ।
দিনের শুরুতে আর শেষে
সূর্যের উড়াউড়িতে
কার্তিকের ধান গুনে গুনে
বেদনার বিষাদময় পদচারনায়
তুমি ভাবলে, আমি এলাম
পৌঁষের রাতে, অথবা ছায়াবীথির তলে
জড়িয়ে ধরে আমার কঙ্কালটা
তুমি ভাবলে, আমি এলাম
ভাবলে, বিষন্ন চোখে তোমাকে দেখছি,
আর আমি-
অপলক চাহনির ফাঁকে ফাঁকে
তোমারই কারনে ভিজিয়েছি দুচোখ
তুমি জানলেও না
ঐ অজানার কারনে আজ আমি নিঃস্ব হলাম
বেদনার বিষাবনীল দেহ নিয়ে
তোমারই ফিরে আসার অপেক্ষাতে
কিণ্তু যখন তুমি এলে
দেখে গেলে আমায়
কোনো এক কবরে
দুর্বা ঘাসের নাচনীতে আর
শিশিরের ঝলমলতায়
হাতে নিয়ে কবিতার বই,
কিণ্তু আমি ফিরে এলাম রিক্ত হয়ে
কিছুই নেই আমার যেন
শুধু অস্পষ্ঠ চোখের চাহনি,
তোমায় দেখছিলাম
তুমি ভাবলে ধরবে আমায়
আমি হাত বাড়ালাম
আর তুমি?
তাই অবশেষে ফিরে এলাম
বিষাদময় কোনো বরবরতায়
হঠাৎ দেখি তোমায়
হাতে একটি লাল অথবা সাদা গোলাপ,
সুমিস্ট বাতাসে ভরে গেল দেহ
তবুও তুমি এলে যখন
ভাবলাম অবশেষে
ফিরে যাই, তোমায় বলি
তুমি কি আমার, হে প্রিয় ?
সাঁজ বেলায় যখন নিঁশুথিরা জাগে
তোমারই পাশে জেগে ছিলাম
তুমি দেখনি,
তোমারই জন্য ভেবেছিলাম
তুমি ভাবনি,
তোমারই জন্য চেয়েছিলাম
তুমি চাওনি,
আর এখন_
তুমি অবশেষে এলে
ভাবলাম এবার তোমায় বলব
তুমি ভাবলে, আর আমি নেই,
শূন্যের বিশালতার গহীনে ,
তাই তোমার জন্য এ কবিতা
তোমার জন্য এ বিরহ
নাইবা র্স্পশতার মায়ায়
পেলে তুমি আমায়,
ক্ষনে ক্ষনে পেলে যখন সকল উণ্মাদনায়
তখন আমি বলব
অবশেষে ফিরে এলাম ।।