অমানুষ (Inhuman)
অমানুষ
—————— রমিত আজাদ
যেদিন থেকে বুঝলাম যে, দোষটা আমারই ছিলো;
সেদিন থেকে নিজেকে অমানুষ ভাবতে শিখেছি!
সাগরিকা, তুমি একটি অমানুষকে ভালোবেসেছিলে!
তোমার দুই চোখে ছিলো প্রেম,
আর আমি তোমার সঙ্গ নিয়েছিলাম নিতান্তই প্রবৃত্তির বশে!
অমানুষ প্রেম বোঝে না!
তুমি ছিলে সদ্য প্রস্ফুটিত পবিত্র পুষ্প,
আর আমি ছিলাম লোভাতুর ভ্রমর!
অমানুষ পবিত্রতা বোঝে না!
তুমি প্রণয়ের বীনায় ঝংকার তুলেছিলে,
আমি শুধু ধাতব তারের টুংটাং শুনেছিলাম।
অমানুষ সুর চেনে না!
তোমার দীঘল শ্বাসে ছিলো অনুরাগের ব্যাপ্তি,
আমি সেখানে শুধু কামোচ্ছাসই দেখেছি।
অমানুষ অনুরাগ মানে না!
ভোরের শিশির একটি অমানুষের কাছে
অর্থহীন জলকণা ছাড়া আর কিছুই নয়!
চাঁদের জোৎস্না একটি অমানুষের কাছে
বিবর্ণ আলো ছাড়া আর কিছুই নয়!
অধরের উদ্ভাসিত কাঁপন একটি অমানুষের কাছে
লালসার তরঙ্গ ছাড়া আর কিছুই নয়!
“যেও না, থেকে যাও।
আমি তোমাকে সবকিছু উজাড় করে ভালোবাসবো।”
কি করুণ ছিলো সেই আঁকুতি,
আর তাতে আমার অহংকারই কেবল বেড়েছে!
অমানুষ আঁকুতির মূল্য দিতে জানে না!
তুমি চেয়েছিলে যুগল প্রতীতির একটি সংগ্রামী জীবন।
ভালোবাসার সংগ্রাম!
আর আমি শেষতক পালিয়েই গেলাম।
অমানুষের সংগ্রাম করার সাহস নেই!
সাগরিকা, তুমি অমানুষকে মানুষ ভেবেই ভুল করেছিলে!
যে মানুষটি নিজেকে ছাড়া আর কিছুই বোঝে না,
তেমন অমানুষকে ভালোবাসতে নেই!
রচনাতারিখ: ১০ই জুলাই, ২০২১ সাল
রচনাসময়: দুপুর ০১টা ১৩ মিনিট
Inhuman
———————– Ramit Azad