
আঁখিতে অগ্নিশিখা
আঁখিতে অগ্নিশিখা
—————— রমিত আজাদ
জ্বালো বহ্নি, ঢালো ক্রোধ,
নিতে হবে প্রতিশোধ।
নিয়েছ শপথ মৃত্যু ভুলিয়া,
দৃপ্ত হস্ত উর্ধ্বে তুলিয়া,
গুলির আঘাতে বক্ষ ভেদিয়া,
আনিবে ছিনিয়া দীপ্ত বিজয়।
হও তবে আগুয়ান,
জেগে ওঠো বলবান।
ভেঙ্গে ফেলো দ্বার,
ভীরুতার কারাগার।
তুমি অনীক, তুমি নির্ভিক,
ভীরুতা তোমার নয়।
তুমি সৈনিক, তুমি অভীক,
তোমার কিসের ভয়?
চোখকে না কাঁদিয়ে মনকে কাঁদাও,
তোল ঝড় ঐ কান্না রোলে,
জাগাও প্লাবন অশ্রুজলে,
প্রলয় বিষাণী ঝঞ্ঝা বাঁধাও।
করিও না ক্ষমা স্মরিয়া শঙ্কা,
ঝরিও বজ্র বাজিয়ে ডঙ্কা।
তব নিঃশঙ্ক চিত্ত করেনা অভিমান,
‘পরাজয়’ সেকি সৈনিকের অভিধান?
বিনা যুদ্ধে মেটে কি ক্ষুধা রণলোভী যোদ্ধার?
কি পদ? কি পদক? বিজয়ের গৌরবই উপহার!
বজ্রে ডাকে ঝড়, কালবোশেখী নিরন্তর,
গর্জিছে তরবার, শোণিত জন্মান্তর।
ডাকিছে সূর্যোদয়, জেগে ওঠো সন্তান,
হাকিছে পিতৃক্রোধ, রাখিতে হইবে মান
জননী জন্মভূমি স্বদেশের সম্মান। ।
——————————————————
সময়: দুপুর ১ টা ৫৭ মিনিট
তারিখ : ২৫শে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ সাল
(শহীদ সেনাদিবস। বাংলাদেশ)
খুব ভালো লাগলো কবিতাটি। মর্মস্পর্শী এবং প্রতিশোধ নেবার মতোই জয়গান!
অশেষ ধন্যবাদ।
খুবই মর্মষ্পর্শী কবিতা ! ধন্যবাদ ।
অশেষ ধন্যবাদ।
রহস্যজনক। বাড়ী তালা মারা থাকলে ভেতরে কারও উপস্হিতি অত্যন্ত সন্দেহজনক।