আমি দিগন্ত ছুঁতে পারি
—————— রমিত আজাদ
ষোড়শীর আলতা মাখা পায়ের নূপুর
যদি নিস্তদ্ধ হয় নিষ্ঠুরতায়।
বুঝে নেব আসন্ন নয়া দাসত্ব।
চিরসুখী ফুলশয্যার যামিনী,
যদি সুখকর না হয় অজানা আশঙ্কায়।
জেনে নেব অদূরেই নব্য প্রভুত্ব।
প্রেয়সীর যুগল চোখের ভাষা যখন রিক্ত শূণ্যতায়,
আরশীর ঠিকরানো আলোয় সায়াহ্নের বিষন্নতা,
বুঝে নেব পিতৃগৌরব মুছে গেছে হিংস্রতায়,
প্রত্যাগত এক প্রাচীন শৃঙ্খলিত বশ্যতা।
না,
আমি হবো না নীরব দর্শক এই দুর্বৃত্তির,
আমিও জ্বালবো অনল, ঢালবো ক্রোধ।
ওদিকে তাকিয়ে দেখো,
যেখানে অন্তরীক্ষ মিশে গেছে ধুলির ধরায়,
অসীমকে করেছে সীমাবদ্ধ অদৃশ্য কক্ষপথে,
কার নিপুন তুলির টানে যেন চিহ্নিত শিয়রে,
মেঘেদের লুটোপুটি গোধুলীর লালিমায়।
হ্যাঁ, আমি ঐ দিগন্ত ছুঁতে পারি।
ধৃষ্ট রাজনীতির পানপাত্র হতে আকন্ঠ মদিরা পানে,
চর্বিত বুলির ন্যায় খন্ডিত বিশ্বাস ভেঙ্গে,
আমি জম্বুক হতে পারি ধূর্ত চাণক্যের মত।
শঙ্খিনীর শুভ্রতা থেকে প্রবঞ্চনার ছলে,
ছেনে ছেনে নিতে পারি কল্মষ কামজ সুখ।
জেনে রেখো,
একদিন এই রাত্রি ভোর হবেই।
যেমন ফুটেছিলো আলো অতীতেও অনেক রাত্রি পেরিয়ে।
আবারো উঠবে সূর্য রূপসী ধরিত্রীর সবুজ জমীনে।
নিঃস্ব গৃহকোণ থেকে জেগে উঠবে দৃপ্ত তিতুমীর।
না,
আমি কাঁদবো না ভ্রাতার মৃত্যুতে,
আঁখিকোন সিক্ত করবো না জলধারায়।
একদিন বাঁধ ভেঙে ঠিক ঠিক ভাসাবো প্লাবন।
যদি কাঁদতেই হয়,
সকল নিষ্ঠুরতাকে শ্বাসরুদ্ধ করে,
বিনষ্ট করবো উচ্ছিষ্ট অমঙ্গল।
তারপর বিজয়ের সুখেই কাঁদবো।
———————————————–
তারিখ: ১লা মার্চ, ২০১৮ (বৃহস্পতিবার)
সময়: দুপুর ৩টা ২০ মিনিট