এটাই তো প্রেম!!!
এটাই তো প্রেম!!!
——————- রমিত আজাদ
নীরা: আচ্ছা, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তুমি তো বিদেশে লেখাপড়া করেছ তাইনা?
হাসান: হু।
নীরা: ‘ক’ দেশের মেয়েরা ওখানে পড়তো?
হাসান: পড়তো তো। সব দেশের মেয়েরাই পড়তো।
নীরা: ‘ক’ দেশের কোন মেয়ের সাথে তোমার পরিচয় ছিলো।
হাসান: ঐ দেশের অনেক মেয়ের সাথেই আমার পরিচয় ছিলো।
নীরা: আমি সেই পরিচয়ের কথা বলছি না হাদারাম! বিশেষ পরিচয়ের কথা বলছি।
হাসান: ও। হ্যাঁ, ওরকম একজন ছিলো কিছুটা।
নীরা: ওর সাথে তোমার এখনো যোগাযোগ আছে?
হাসান: অনেকগুলো বছর ওর কোন খোঁজ জানতাম না। তবে বছর দুয়েক আগে ইন্টারনেটের কল্যাণে ওকে খুঁজে পেয়েছি।
নীরা: তাই? ইন্টারেস্টিং তো! ও কোথায় আছে এখন? ওর দেশে?
হাসান: না। আমেরিকায় থাকে।
নীরা: ও। কথা হয় তোমাদের?
হাসান: হুম। তবে ই-মেইলেই বেশী যোগাযোগ।
নীরা: ওর কি বিয়ে-শাদি হয়েছে?
হাসান: আমি জানিনা। কখনো প্রশ্ন করিনি।
নীরা: কেন প্রশ্ন করোনি?
হাসান: ভাবলাম, এটা ওর ব্যাক্তিগত ব্যাপার। ও নিজে থেকে যদি বলে বলুক। তা নইলে থাক।
নীরা: তোমার এত মনের মানুষ, অথচ তার সম্পর্কে কিছু জানতে চাওনা?
হাসান: না, সেই অর্থে কোন মনের মানুষ নয়। আমরা একসাথে পড়ালেখা করেছিলাম এইটুকুই। তাও মাত্র এক বৎসর।
নীরা: কিন্তু তাও তো ও তোমার কাছের মানুষ।
হাসান: আরে না। ওর সাথে আমার কোন প্রেমই হয়নি।
নীরা: আরে হয়েছে, হয়েছে। ঠিকই প্রেম হয়েছে।
হাসান: আরে, আমি তো বলছি হয় নি।
নীরা: শোন, তোমার সাথে আর মেয়েরা পড়তো না?
হাসান: হ্যাঁ। পড়তো তো।
নীরা: তাদের তুমি মনে রেখেছ?
হাসান: ইয়ে মানে, না সেইভাবে মনে রাখিনি, জাস্ট মেমোরিতে আছে আরকি।
নীরা: সেটাই। আরো অনেকেই ছিলো, তাদেরকে মনে রাখোনি। ওকে কিন্তু মনে রেখেছ!
হাসান: আঁ, হ্যাঁ। তা ঠিক।
নীরা: এতগুলো বছর পরে খুঁজে বের করেছ।
হাসান: তা করেছি।
নীরা: সেই মেয়েটিও তোমাকে জবাব দিয়েছে।
হাসান: তা দিয়েছে।
নীরা: এটাই তো প্রেম!!!
এমন একটি উপসংহার আশা করেনি হাসান। নিজের কাছেই নিজে ধরা খাওয়ার মত! নীরা চোখে আঙুল দিয়ে একটি বিষয় বুঝিয়ে দিলো। যা সে নিজেও এতগুলো বছর বুঝতে পারেনি।
তারিখ: ২রা অক্টোবর, ২০১৭
সময়: রাত ১১টা ১৪ মিনিট