গিরগিটি রঙ বদলায় জরুরৎ বুঝে
গিরগিটি রঙ বদলায় জরুরৎ বুঝে
———– ড. রমিত আজাদ
তখন মধ্যরাত, অথবা দ্বিপ্রহরও হতে পারে,
সদ্য ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের রেশ কাটেনি তখনও
ভূকম্পনের সাথে সাথে হৃৎকম্পনও প্রবর্ধিত হয় অত্যুগ্র!
তাই সময়ের হিসাবটা তখন অর্থহীন,
যেমন অর্থহীন হয় বিলাসী জীবন, দেহান্তের সন্ধিক্ষণে।
আমার কার্নিশে উপগত হলো এক পরিশ্রান্ত পারাবত,
অনুগত খেচর অতিক্রম করেছে সূদীর্ঘ খগোল,
চরণে তাহার সন্নিবদ্ধ এক ধুসর পত্র,
কি আছে খচিত তথা? চিত্রানুগ সুসংবাদ?
না কি আনকা কোন এক অশনী সংকেত?
নাহ্ বার্তাবাহক তা জানেনা।
নিস্ফল প্রশ্ন করা তাকে,
বার্তা বয়ে নেয়াই তার কাজ,
আজ্ঞাবহ ডাক হরকরা অধীশ্বরের।
বার্তা এসেছে তাঁর,
যেমন আশংকা অথবা প্রত্যাশা করেছিলাম তাই,
একশত আশি ডিগ্রী বিপরীত,
এতকালের প্রচারিত প্রজ্ঞাপনার,
বাদাড়ের গিরগিটি রঙ বদলায় জরুরৎ বুঝে।
আপেক্ষিক তত্ত্ব একসময় বুঝতেন কেবল একজন,
এক থেকে তিন, তিন থেকে তিনশত,
আজ তা তিন কোটি ছাড়িয়ে গেছে নির্ঘাত।
তেমনি মেকিয়েভেলীর কূটনীতিও
আজ আর দুরূহ কিছু নয়,
অধীশ্বর আর অধিরাজ্ঞী শুধু নয়,
আম জনতাও বুঝতে পারে সব,
বিষয়টি আপনি বুঝেছেন তো?
Nice poem ! lots of things to understand from it.
I love this peom. thank you to the poet. 🙂