তুমি আর সেই বালিকাটি নও!
—————– রমিত আজাদ
যখন তুমি আমার কাছে আসতে
নির্মল অনুভূতিতে,
তখন আমি তোমাকে উপেক্ষা করেছিলাম
যৌবনের অহংকারে।
তোমাকে নিতান্তই একটি বালিকা মনে হতো!
পরিণত পুরুষের কাছে বালিকার কি মূল্য আছে বলো?
তাই তৃষ্ণাতুর তোমাকে আমি দেখেও দেখিনি,
ব্যথাতুর তোমাকে বোঝার চেষ্টা তো করিইনি!
তোমার বারংবার আসা, আমার বারংবার উপেক্ষায়
একসময় শ্রান্তি-ব্যথায় ক্লান্ত হয়ে বন্ধ করে দিলে আসা।
তবুও প্রায়ই হতো তোমার আমার দেখা,
কখনো করিডোরে, কখনো ফটকের সামনে।
পাংশু মুখী তোমার আঁখির ভাষা ও আঁকুতি
দুটো-ই আমি পড়তে পারতাম অনায়াসে,
পরিণত অভিজ্ঞ পুরুষ তা পারে।
ধরনীর ঘূর্ণনে আর সুরুযের বিকিরণে
বয়ে যায় খরস্রোতা সময়ের স্রোত।
সেই প্রবাহের জোয়ার-ভাটা
তোমার কায়া ও মনেও আনে রুপান্তর।
কোন এক রোদ ফাটা নাগকেশরী দিনে
ঢের বিলম্বে হলেও আবিষ্কার করলাম,
তুমি আর সেই বালিকাটি নও!
যৌবনের আভা লেগেছে তোমার অঙ্গ ও রূপে,
চিত্তহারী শান্ত চাউনির দীপ্তি তে তুমি আজ পরিণতা।
তুমি লক্ষ্য করোনি হয়তো,
এবার দ্রষ্টা আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখেছি তোমাকে,
যেমন মুগ্ধতায় নারী-কে দেখে পুরুষ!
শুনলাম, তুমি পরিণীতা হতে যাচ্ছ,
তোমার পাণিগ্রহণ করতে যাচ্ছে
কোন এক ভাগ্যবান নর।
কি করবো এখন আমি?
অনুতাপ না অভিনন্দন?
————————————————
তারিখ: ১০ই নভেম্বর, ২০১৮
সময়: রাত ১টা, ১৬ মিনিট