
তুমি ভালো আছো তো?
তুমি ভালো আছো তো?
————— রমিত আজাদ
কৃষ্ণচূড়ার পাঁপড়ি ছড়ানো কাঁকর বিছানো পথটি ধরে
হেটে যাওয়া যুগল দেখে বুকটা খা খা করে উঠলো।
এভাবেই বুকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে যখন দেখি কোন
রোমান্টিক মুভি পরম আবেগের, বিধ্বস্ত প্রাচীন ধ্রুপদী।
কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা, শৈল্পিক সেই দিন হয়েছে বিগত!
বারবার আশা নিয়ে লগইন করি ফেইসবুকে,
মোবাইল হাতে নিয়ে দিনের পর দিন প্রতীক্ষা করি
একটি কলের, ঝলমলে রঙিন জলীয় স্ফটিক স্ক্রীনে
যদিপ ভেসে ওঠে একদা মুখস্থ হয়ে যাওয়া সেই নাম্বারটি।
কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা, সেই কলটি আর আসবে না!
প্রতিটি মুহূর্ত তোমাকে ভাবি, যন্ত্রনায় কাটে নির্ঘুম রজনী,
হোক সে দুর্নিবার পূর্ণিমার রাত্রি, কিংবা অমাবশ্যার নিশি রহস্যের।
গুমোট হয়ে থাকা কষ্টগুলো প্রবর্ধিত হয় ক্রমান্বয়ে,
সহসা কান্নায় ভেঙে পড়ে নিস্কাশিত করতে পারলে কষ্ট
বেশ হতো হয়তো, ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার মত,
কিন্তু কিছুতেই সারেনা এই দূরারোগ্য ব্যাধি!
আমি জানি তুমি ফোনে, ফেইসবুকে, ই-মেইলে
যেখানে যেখানে আমার যত ছবি ও চ্যাট ছিলো
সব কিছু মুছে, ব্লক করে দিয়েছ আমাকে।
আমি কিন্তু কিছুই করিনি অনুরূপ।
চট করে ক্লিক করে আজই ডিলিট করতে পারি সব,
তবে টুক সে ক্লিক ঠুনকো নয় আমার কাছে,
জাফলং-এর স্বচ্ছ নদীর বুকে শয়ে শয়ে শুয়ে থাকা
গুরুভার প্রস্তর সরানোও এর চাইতে সহজ অনেক।
বারবার হাত কেঁপে কেঁপে ওঠে পারকিনসন্স রোগীর মত।
বরং রেখে দিয়েছি সব পরম যত্ন করে,
থাকুক হাজার বছর আমার সাথে দেহাংশ হয়ে,
ঐগুলো আমার পরম সম্পদ!
প্রত্যাখ্যান যদি করবেই তবে এত দেরীতে করলে কেন?
কষ্ট খুব বেশী দিতে চেয়েছিলে তাই না?
একবিংশ শতাব্দীর অধিকল্পে আকাশজালের খাঁজে খাঁজে
বেদনা প্রশমিত করার মার্গ অনেক রয়েছে জানি,
তার প্রয়োগও আর কঠিন নয় এই অবাধ মিশ্রণের অধিযুগে।
তবুও অপমান এবং কষ্টটাকে নির্মূল করতে চাইনা মোটেও,
থাক সে ক্ষত হয়ে চিরন্তন, ঐ ক্ষতই হবে অতীতের অনুরণন।
উপাধানের মাঝে লুকিয়ে থাকা পক্ষধরের তীক্ষ্ণ পালকের মত,
খোঁচা দিয়ে দিয়ে বারবার মনে করিয়ে দেবে তোমাকে।
আমি শুধু জানতে চাই, আমাকে এতটা কষ্ট দিলে যেই উদ্দেশ্যে,
তা কি সফল হয়েছে?
তুমি ভালো আছো তো?
Are you living well?
——– Ramit Azad