দিলে আমার মহানবী
——————– রমিত আজাদ
দিলে আমার মহানবী,
হেরার গুহায় ধ্যানের ছবি,
নিখিল ভূবন মজে আছে
তাহারও প্রেমে;
হায়রে তাহারও প্রেমে!
জ্বীন, ফেরেশতা, গাছের পাতা,
রবি, শশী, ক্ষিতিমাতা;
পড়িছে দরূদ তারা ক্ষণে ক্ষণে!
আহা ক্ষণে ক্ষণে!
নদী, সায়র শরাব পিয়ে,
মরুর ধুলা রঙ ছড়িয়ে,
গাহিছে প্রশংসা গীতি
দিনে ও রাতে।
আহা দিনে ও রাতে!
পাপীরা যখন মদের নেশায়,
মেতে ছিলো গুনাহ্ জলসায়।
অন্ধকারে ছিলো ডুবে
জাহেলিয়াতে!
হায় হায় জাহেলিয়াতে!
সত্যবাদী দ্বীনের নেতা,
অমর বাণী, মধুর কথা;
বলিয়াছেন সেই জমানায়
মানবের পথে!
তাহার ডাকে দিলো সাড়া,
চন্দ্র, সূরুয, গ্রহ, তারা;
আরো দিলেন সাড়া যত
মুমীন ও দ্বীনদার!
প্রভুর বাণী লয়ে লয়ে,
মক্কা থেকে তায়েফ হয়ে,
কষ্ট-ব্যাথা পীড়ন সয়ে,
করিলেন প্রচার।
বাধা বিপদ সব পেরিয়ে
মদিনারই মরুদ্যানে,
ন্যায়ের বাইত দাঁড় করাতে
গড়িলেন মসজিদ।
আহা গড়িলেন মসজিদ!
আযানেরই সুর উঠিলো,
গাহিলেন বেলাল।
রৌশন হইলো জমিন-আশমান,
নাচিলো হেলাল।
আহা নাচিলো হেলাল।
মক্কাজয়ী বীরের নেতা,
ভুলে গিয়ে অতীত ব্যাথা,
যুদ্ধজয়ী দিগবিজয়ী,
করিলেন ক্ষমা।
আহা করিলেন ক্ষমা।
তোমার নবী, আমার নবী,
নিখিল ধরার মহানবী,
হয়ে গেলেন সবার মনের
ভূবনজয়ী বিশ্বনবী!
রচনাতারিখ: ৩রা নভেম্বর, ২০২০ সাল
সময়: দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট