দুজনেই যখন কবি:
স্ত্রী: তুমি কি এইজন্যই কবিতা লেখো যে, তোমার প্রাক্তন বান্ধবীও কবিতা লেখে?
স্বামী: না ঠিক তা নয়।
স্ত্রী: আমি তো দেখেছি যে, তোমার প্রাক্তন বান্ধবীও কবিতা লেখে। তার লেখা কবিতার বইও তো আছে। হয়তো তুমি ওকে দেখে ইন্সপায়ারড?
স্বামী: আসলে আমিই কবিতা লিখতাম সব সময়। কিশোর বয়স থেকেই লিখেছি।
স্ত্রী: তোমার কবিতা লেখার সাথে ওর কবিতা লেখার সম্পর্ক কি?
স্বামী: তা আমি বলতে পারবো না। তবে আমাদের বন্ধুত্ব চলাকালীন সময়ে আমি ওকে আমার লেখা কিছু কবিতা দেখিয়েছিলাম। মাঝে মাঝে ওকে কবিতা আবৃত্তি করে শোনাতাম।
স্ত্রী: তাহলে, সে কি তোমার দ্বারা ইনস্পায়ার্ড?
স্বামী: জানি না। হতে পারে। হলেও আমি জানিনা। আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে, অনেকগুলো বছর আগে। ও কবিতা লেখা শুরু করেছে, আমাদের বিচ্ছেদের পরে।
স্ত্রী: তাহলে কি তোমাদের বিচ্ছেদের বেদনা থেকেই সে কবিতা লিখছে?
স্বামী: আমি তা কি করে বলবো? আমার সাথে তার আর কোন যোগাযোগ নেই!
স্ত্রী-র এই প্রশ্নবাণ শেষ হবে না, বুঝতে পেরে স্বামী সরে আসলো সেখান থেকে।
তবে নিজের মনেই ভাবতে লাগলো বিষয়টি নিয়ে। প্রশ্নগুলো তার নিজের মনেও রয়েছে। কিন্তু উত্তরগুলো সম্ভবত সে জানতে পারবে না কোনদিনও!!!
সেই সন্ধ্যার অগ্নিরাগে,
পূর্ণিমার চৈতালি চাঁদে।
চাতকী বিদায়ী তিথি,
একাকী অরণ্য বীথি।
মানেনি অভিশ্রুতি,
রাখেনি প্রতিশ্রুতি।
বাজেনি বাঁশরী কোন,
বলেনি “কবিতা শোন”।
তবে কি নেত্রজলে,
তোমার কবিতাছলে,
লিখে যাও খোলাচিঠি?
ব্যাকুলো প্রণয়লিপি?
গহনে আপন মনে,
তুমিও কি গল্প শোনাও?
গোপনে আঁখির কোনে,
তুমিও কি অশ্রু ঝরাও?
———————————————
রমিত আজাদ
তারিখ: ৯ই ডিসেম্বর, ২০১৭
সময়: রাত ২টা ১০ মিনিট