নক্ষত্রেরা ঘুমায় না
নক্ষত্রেরা ঘুমায় না
———– রমিত আজাদ
নক্ষত্রেরা জেগে থাকে ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে,
হোক সে চন্দ্রভুক অমাবশ্যা কিংবা দুর্নিবার দুর্দান্ত পূর্ণিমা।
অতটা উচ্চতা থেকে যতটুকু দেখা যায়, তার সবটুকুই নির্জলা।
সেখানে সাধিত অতীত খাঁটি, আরো খাঁটি মৃত্তিকা ও মহাকালের গল্প!
বিশ্বায়নের পল্লীগাঁয়ে আশ্রয়হীন সংবাদবাহক!
বেসাতি রাজনীতির ফাঁদে নিরাধার বার্তাজীবী!
সংবাদও আজ পণ্যদ্রব্য বণিকের ভুবনবীণায়,
উৎপাতে উৎখাতে নিরূপায় সত্যনিষ্ঠ প্রতিবেদক!
বারংবার উচ্চারিত প্রতারকের মিথ্যাচার
টেকে না জ্যোতিষ্কের ধ্রুবতার কাছে।
গোয়েবেলস গত হয়েছে সেই কবে!
সেফটন ডেলমারও দেহ রেখেছে কালান্তে।
কেবল নক্ষত্রেরাই বেঁচে আছে কালের ইশাদী হয়ে।
তবে জেনে রেখো, কালের পরিক্রমায়,
ন্যায্য দাবির আমন্ত্রণে নক্ষত্রেরা হুশিয়ার।
পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া নিরেট ঘটনাবলী,
আলোর গতিতে ছুটে যায় সত্য কাঁধে নিয়ে।
আর ওপারে নক্ষত্রেরা অপেক্ষমান,
সেই সব প্রমিতি-কে আলিঙ্গন করতে।
মনুষ্যের জীবন অনন্ত নয়,
নক্ষত্রের আগেই তারা নিভে যাবে অবশেষে।
বিলুপ্তপ্রায় সত্যের প্রতিষ্ঠাকল্পে কঠিন
মুষ্ঠি উঁচু হবে নেশাতুর প্রজার একদিন।
প্রতারকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে,
উন্মোচিত হবে চির প্রতিক্ষিত সত্য।
নক্ষত্রেরা সত্য প্রকাশ করবেই !!!
—————————————————
তারিখ: ২৮শে মার্চ, ২০১৮
সময়: রাত ৩টা পাঁচ মিনিট
(পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তার সবকিছু আলোর গতিতে ছুটে যায় আকাশপানে। দুরবর্তি কোন নক্ষত্র থেকে অবলোকন করা যাবে সেই নির্জলা ইতিহাস। মহাবিশ্বের স্থান-কালে কোন ঘটনাই হারায় না, তাই ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা কোন কাজে দেবে না, গতিকে জয় করা গেলে সব সত্যই ধরা দেবে।)