নদীশাসনের আজ বড় প্রয়োজন
নদীশাসনের আজ বড় প্রয়োজন
———————— রমিত আজাদ
আর কতবার হাহাকার শুনলে
বিবেক জাগ্রত হবে সর্বগ্রাসী নদীর?
ঠিক কতটা এগুলে মনে হবে পর্যাপ্ত হয়েছে?
শাপদসংকুল জঙ্গলজীবন যেমন
ন্যায়-অন্যায় বোঝেনা,
উন্মাদ কালিগুলা যেমন জানতো না
গন্ডিবদ্ধ মানুষের বন্দি জীবনের আস্ফালন!
নদী আর ডাঙার
জিইয়ে রাখা মূষিক-বেড়াল সম্পর্ক,
শৈশবের সাপ-লুডু খেলার প্রতিরূপ।
টাঙ্গুয়ার হাওড়ের ক্ষুদ্রকোনে টাঙানো
জরাজীর্ণ টং ঘরে শুয়ে বস্ত্রহীন নিঃস্ব
উপভোগ করেনা জল ও জঙ্গলের কাব্য!
সে চায় নিরবধি বিবাদের অবসান,
স্বপ্ন দেখে মুক্ত বিহঙ্গের সঙ্গীত সুধার।
আমাদের ক্ষেত, ধানী জমি, বিদ্যালয়,
বাজার, ডাকঘর, ডাক্তারখানা,
সব আজ নদীভাঙনের দখলে।
উন্মত্ত অন্ধ নদী বোঝেনা,
তিলে তিলে সাজানো গ্রাম,
নিরাপদ জনপদের মূল্য!
নদীশাসনের আজ বড় প্রয়োজন।
ঐক্যবদ্ধ গ্রামবাসীর সম্মিলিত আহবানে,
নদীকে চিৎকার করে বলতে হবে,
“থামো, স্তদ্ধ হও,
এ আমার ঘর,
আমাদের সর্বশেষ মাথা গোঁজার ঠাই।”
——————————————
তারিখ: ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সময়: ভোর ৫টা ১৩ মিনিট