নিশুতি জড়োয়ায় বিরহ
নিশুতি জড়োয়ায় বিরহ
——————— রমিত আজাদ
স্বপ্ন ছিলো এক সমুদ্র,
একাকী বিনোদনের স্বার্থপর স্বপ্ন নয়,
তোমাকে ঘিরেই ছিলো সব স্বপ্ন!
দুই হৃদয়ের এক স্বপ্ন!
অথচ তুমি, আমার ভালোর জন্যই,
আমাকে ছেড়ে চলে গেলে!
তারপর কি ভালোটা হলো?
তোমাকে ছাড়া কি আমার ভালো হয় বলো?
আমাদের একটা সাগর ছিলো,
বিশ্বাসের এক সীমাহীন সাগর।
আমাদের একটা নদী ছিলো।
জরীন স্বপ্নের ঠিকানায় ছুটে যাওয়া ক্ষিপ্র নদী।
একটা ঘরের স্বপ্ন ছিলো,
আকাশের নীল মাখা নিকেতন
হবে মায়াবী বাগান ঘেরা।
যে গৃহের চালে নির্ভয়ে নেমে আসবে
উত্তুরে অতিথি পাখী।
একটা বাগানের স্বপ্ন ছিলো,
অলকানন্দা আর কৃষ্ণচূড়ার শোভায় ছাওয়া,
বাগানবিলাস আর মাধবীলতায় সোহাগের জরাজরি!
হাসনাহেনা আর গন্ধরাজের সৌরভে ভরপুর বাগান!
ফুল থেকে ফুলে নির্ভয়ে ওড়া রঙিন প্রজাপতি!
একটা উঠানের স্বপ্ন ছিলো,
যার প্রসস্ত চত্বরে হাটবে বাহারী বিহঙ্গেরা,
খুটে খুটে খাবে নবান্নের ফসল!
চেয়ার-টেবিল পেতে
চায়ের পেয়ালায় ঢেউ তুলে
দুজনে কাটিয়ে দেব সারাটা বিকেল!
একটা দীঘির স্বপ্ন ছিলো,
মৎস্য ভরা কাকচক্ষু জলের দীঘি।
যেখানে চুপিসারে নামবে জোনাকী সন্ধ্যা!
নীরবে উঠে আসা চাঁদের জোছনায়
আলো-আঁধারীর এক কারুকাজ হবে,
নিশুতির জড়োয়ায়!
আজ সবই উপচে আছে
মশগুল গুলশান অবসরে।
কেবল কবিতার সোহাগে
তুমিই নেই পাশে!
সন্ধ্যাতারা অস্তপারের শশী,
মানিনীর শিশির অভিসারে!
—————————————–
রচনাতারিখ: ২রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯
সময়: বিকাল ৪টা ২৯ মিনিট