পাঁচ মিনিটেই মন ভালো
————— রমিত আজাদ
কাশফুলের তরঙ্গ মুখর শরৎ মধুর দিনে
আমার মনটা খারাপ ছিলো ভীষণ।
অনিশ্চিত মেঘলা দিনের মত
হুট করে আঁধার হওয়া নয়।
নাতিদীর্ঘ প্রতীক্ষা ও
কয়েকদিন একান্ত ফোনালাপের পর
যখন অভিসারের দিনক্ষণ ঠিক হলো,
চট করে তোমার অসুখ হলো।
হলো না আর অভিসার!
প্রথমদিন দিনমান অপেক্ষা করার পর
যখন জানতে পারলাম তোমার অসুখ করেছে,
মনে হলো পুরো পৃথিবীর আজ বিমার হয়েছে।
আমার ভীষণ কষ্ট হলো।
তবে বুকচাপা কষ্ট বুকেই রয়ে গেলো!
পুরুষের নয়ন তো আর অশ্রুস্রোত ঝরাতে পারেনা!
তা নইলে ঐ দুঃখে বইয়ে দিতাম একটি সোমেশ্বরী নদী।
দ্বিতীয়দিন সারাটা দিবস তোমাকে পাইনি কোথাও,
না টেলিফোনে না আকাশজালে।
বুঝলাম তুমি ভীষণ অসুস্থ।
কাশফুলের এমন রোমান্টিক দিনে,
কত প্রজাপতি জোড়ায় জোড়ায় উড়ে বেড়ায় ফুলে।
আমাদের আর হলো না ওড়া অরণ্যে!
ফুরিয়ে গেল একটি আতশী দিন।
নীলাঞ্জনা তোমার কষ্ট দেখলে আমার তুষ্টি হারিয়ে যায়,
সুরঞ্জনা কথা দিলাম, তোমাকে কখনো দুঃখ পেতে দেব না।
অবশেষে আজ তুমি এলে,
শরীরটা বোধহয় কিছুটা ছিলো ভালো।
তাই এলে কেবল পাঁচ মিনিটের তরে।
আচমকা আমার মন ভালো হয়ে গেলো!
হোক না সে স্বল্পকাল, হোক না সে হ্রস্ব অনুপল,
আমার কাছে ঐ পাঁচ মিনিটই পাঁচটি আলোকবর্ষ।
—————————————–
তারিখ: ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সময়: ২টা ৫৪ মিনিট