বীর চলে যুদ্ধে
বীর চলে যুদ্ধে
—————- রমিত আজাদ
যুদ্ধসাঁজে যোদ্ধা ছোটে রণবেশী বীর,
শত্রুরথে মাতৃভূমি, যমপুরী তার নীড়!
মাতৃকা তার বন্দিনী আজ, লজ্জানত শির,
শৃঙ্খলিত পূণ্যভূমি ভয়াল বন্দিশিবির!
সাঁজিয়াছে রণবেশে বীর চলে যুদ্ধে,
বাঁধিয়াছে বন্ধনী ঘোরতরে ক্রুদ্ধে!
ধ্বজাধারী যোদ্ধা পিঠে তুরঙ্গম ছোটে,
উদ্ভাসিত তরবারে রক্তক্ষুধা ফোটে!
শত্রুসেনা প্রকম্পিত সমর ছাউনিতে,
রণভেরী বাজিয়াছে মাতার চাউনিতে।
মাতৃভূমি রক্ষাকল্পে সিপাহী প্রতিজ্ঞ,
বীরধাত্রী রত্নগর্ভা সমরে অভিজ্ঞ!
স্নেহাচলে আঁখি মোছে গোপনে মাতা,
স্বামী তার ছিলো বীর, স্বদেশত্রাতা।
গাজী ও শহীদ খেতাব নিয়ে ঘুমিয়ে কবরে,
স্ত্রী তার স্মৃতি ধরে সংবাদ ও আখ্বরে!
বীরবর সেনাপতি শঙ্কাহীন চিত্তে,
শ্বেতভূজ রত্নরাজ দেশপ্রেম বিত্তে!
শুনিয়া ত্যাগগাঁথা পিতৃ-ত্রাতা পথের,
জাগরিয়া উঠে ত্রাসে সন্তান লাখের!
ভাবনা কিসের মাতা? কিসের উদ্বেগ?
কোটি সন্তানের আজ উঠেছে আবেগ!
মাতৃভূমি রক্ষাকল্পে দৃঢ়চিত্ত যাচে,
আর কোন কর্মকান্ডে এমন পুণ্য আছে?
জননীর আশির্বাদ রহে যদি সাথে,
মনোবল না হারায় বীর বন্ধুর পথে।
রক্তরঙ টকটক, রত্নমণি ঝলসি,
ভুলিয়াছে রূপসী প্রিয়া, দেশই প্রেয়সী।
কাম কোপানলে সে পুড়াইবে না মন!
রহিয়াছে সমুখে তাহার দায়িত্ব মহান,
যতক্ষণ না স্বদেশ তাহার হবে শত্রুমুক্ত,
ততক্ষণ রাখিবে নিজেকে কর্তব্যে যুক্ত।
সীমাহীন দানবকূল হাঁকিতেছে ত্রাসে,
লুটিতেছে বিত্ত যত অসুরের গ্রাসে।
পুরুষে করিয়াছে দাস, নারীরে দাসী,
নিজ দেশে অধিবাসী হলো পরবাসী!
বীরবাহু রণভূমে বাজাইলো ডঙ্কা,
দানবের মনে ত্রাসে সীমাহীন শঙ্কা।
এবার পড়বে মারা ধনে ও জানে!
শত শত বাহুবীর জাগিয়াছে প্রাণে!
——————————————-
রচনাতারিখ: ২১শে নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট
The Hero Goes to War
————— Ramit Azad
নেতাজীর স্ত্রী-কে নিয়ে লেখা