বৃক্ষের অভিশাপে
বৃক্ষের অভিশাপে
—————————– রমিত আজাদ
কোন শালারা কাটলো এমন বড় বড় গাছ?
কোন শালারা করলো এমন দেশের সর্বনাশ?
কোন নিঠুরের করাত চলে, গাছের বুকটি চিরে?
কোন ঘাতকের কুঠার ওঠে, ভাঙতে পাখির নীড়ে?
তোদের যেমন জীবন আছে, গাছেরও আছে প্রাণ;
জীববিদ্যা পড়িস নি কি? জানিসনা নির্জ্ঞান?
মূর্খ যারা তারাও তো জানে, গাছের উপকার;
অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি গাছ, বাঁচায় জানোয়ার।
ফলের ভারে নুয়ে পড়ে বৃক্ষ ফলবতি,
ফুলের শোভায় হেসে ওঠে তরূ মায়াবতি!
প্রেমিক যুগল বসে সুখে গাছেরো ছায়ায়,
জোড়া পাখি বাধে বাসা শাখীরো মায়ায়।
যে মাঠেতে হত জুয়া, হত ঘোড়ার দৌড়,
জুয়ারীরা কুটতো মাথা, কদাকার হুল্লোড়!
বনায়নে সেথায় আজি হাজার পাখি ওড়ে,
নগরবাসীর জুড়ায় হৃদয়, পাখির গানের সুরে।
কাঁচে-রডে কাঠামোতে রেস্তোরা কি চাই?
গুঞ্জরিবে সেথা ভ্রমর, ফুলে ফুলে যাই?
টাকার লোভে নির্মমতায় উজাড় হলে বন,
কৃত্রিমতার স্থাপনায় কার জুড়াবে মন?
মুহুমুহু কাকলিতে সরব যে উদ্যান,
অঙ্কুরিত স্বর্গীয়তা বিশ্বপ্রভুর দান।
নিষ্পেষিত শ্যামলতা ফেলে চোখের জল,
কাঠুরিয়ার নিঠুরতায় কাঁদে গাছের দল!
গাছের আছে অনুভূতি, শুধু মুখের ভাষা নাই;
আঘাত পেলে কয়না মুখে, “আমি ব্যাথা পাই!”
সারি সারি গাছের লাশের কবর যখন রবে,
বোবা মুখের অভিশাপে, পাপের বিচার হবে।
রচনাতারিখ: ০৮ই মে, ২০২১ সাল।
রচনাসময়: ভোর ০৫টা ৪১ মিনিট
The Curse of the Tree
———————— Ramit Azad
