
মমতাজ
— মারুফ সরদার
একদিন ভাবো বসে আছি একা
তুমি আমি পাশাপাশি
মনের ভিতর ভালবাসা ছিল
পুরোপুরি ঠাসাঠাসি
বায়না ধরে বললে তুমি
হাড়াবে দুজনে আজ ?
ভাবি আমি বসে কোথায় হাড়াবো
নিয়ে এই মমতাজ
রাজ্যহীন শাজাহাণ আমি
তৃপ্ত করী কী ভাবে ?
জিজ্ঞাসীলাম মমতাজ তুমি
বল আজ কোথা যাবে ?
খানিকক্ষণ চুপ থেকে বলে
আমার এই মন চায়
তোমাকে নিয়ে কাটাবো সময়
কোনও এক নিরালায়
ভাবতে থাকি অস্থির হয়ে
কোথা নিয়ে তাকে যাব
এই পৃথিবীর যেখানেই যাই
মানুষের দেখা পাব
মমতাজ সম সঙ্গিনী মোর
কি করে কাঁদাবো তাকে ?
কত শাজাহান তাকে পাইতে
বসে আছে বাঁকে বাঁকে
চিন্তিত হয়ে আকাশের পানে
তাকিয়ে ছিলাম দূরে
একখণ্ড মেঘকে দেখি
যাচ্ছে আকাশে উড়ে
ইশারায় আমি মেঘকে ডেকে
বলি ও মেঘের দূত
জানো কি তুমি কোন সে ভূমি
নিশ্চুপ অদ্ভুত ?
মমতাজ মোর বায়না ধরেছে
নিরালায় কিছুক্ষণ
কাটাবে সময় নিয়ে যাব তারে
করেছি যে আমি পন
মেঘের খণ্ড ইশারায় বলে
উঠে বস মোর পৃষ্ঠে
মেঘের দেশে নিয়ে যাব আজ
দেখবে যুগল দৃষ্টে
খুশিতে হয়ে আত্মহারা
শাজাহান মমতাজে
চড়িয়া বসি নিরালায় যেতে
মেঘের পঙ্খিরাজে
অন্তহীন মেঘের দেশেতে
ভাসার কিছুটা পরে
মমতাজ তার কোমল হাতে
আমার হাতখানা ধরে
শাজাহান আমি কল্পনাতে
ভাবনার খেয়াপারে
মেঘেতে এক তাজমহল গড়ে
উপহার দেই তারে
মেঘ রঙা চুল উরছিল সেথা
মেঘমাখা হাওয়া লেগে
কাশফুল ভেবে চুলের ছোঁয়ায়
উঠলাম আমি জেগে
মমতাজ মোর বুকে মাথা রেখে
মৃদু কণ্ঠে বলে
আমার বুকের ভিতরটা কেন
কয়লার মত জ্বলে ?
বললাম কত কষ্ট দিয়েছি
পুষছিলে এতদিন-ই …
এক মুহূর্ত বুকে মাথা রেখে
করে দিলে মোরে ঋণী
এত দুঃখ দিয়েছি তবু
ভালবাস তারপরও ?
কি এক জাদু আছে তোমাতে
আমাকে পাগল কর
একি অনাবিল সুখ তুমি দিলে
নিরালায় ডাকি আজ
মেঘের বুকেতে শাজাহান শুয়ে
তার বুকে মমতাজ ।