মুনিয়া নয়না আঁখি
—————————– রমিত আজাদ
একজন সুলোচনা ছিলো অনেকের ভিড়ে,
মুনিয়া নয়না নির্মলা তরুণীর ফুটন্ত যৌবন
অনায়াসে ধরা দিয়েছিলো কবির বাহুডোরে।
তবুও কবি তার আঁখিতে দেখেনি প্রেম!
বড় বেশী সাধারণ, বড় বেশী নিরহংকারী,
অতীব আটপৌরে ছিলো সেই তীব্র সুন্দরী,
তার এই অহমিকাহীনতাই বুঝি
তাকে অনাকর্ষণীয় করে ফেলেছিলো বেখেয়ালে!
তাই সুলোচনার হাতছানী আর হয়ে ওঠেনি আলেয়ার আলো,
উতলা হয়নি পূরবী কবির মন।
নিমগ্ন কবির বুকে দোলেনি শৈবলিনীর জোয়ার-ভাটা।
নির্দ্বিধায় দেখেছে সে সমাপ্তি প্রণয়ের,
নির্লিপ্ত শ্রাবণ যেন ধুয়েছিলো সব।
সহজেই যাকে পাওয়া যায়,
তার আর মূল্য হয় কতটুকু?
সুলোচনা সঙ্গীত হতে পারেনি মৃগতৃষ্ণিকার,
হয়নি সে পাতার ঘ্রাণ অরণ্য বৃক্ষের নীচে।
সুলোচনা গোধূলি দেখতে পারেনি ধ্রুপদী প্রেমে,
খুব সহজেই সাড়া দিয়ে, সে পেয়েছে দীর্ঘ আস্ফালন।
তবু আজ এতকাল পরে, কবিমন হাহাকার করে!
বড় বেশী অবিচার করা হয়েছে সুলোচনার সাথে।
নিদ্রিত বিবেক জেগেছে তাই রৌদ্রদহন প্রাতে!
———————————————————
তারিখ: ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সময়: রাত ৮টা, ৪৫ মিনিট