রাজতন্ত্র, প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্র:
একসময় ছিলো রাজতন্ত্র। মানে রাজার ইচ্ছাই আইন। রাজা যেভাবে চাইবেন সেভাবেই রাজ্য শাসন করবেন। কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনে
রাজা প্রজাসকল বা জনগণের মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করতেন না। কারণ রাজা বাহুবলে রাজ্য জয় করতো। রাজ ক্ষমতা প্রাপ্তির সাথে প্রজা বা জনতার সম্পৃক্ততা থাকতো না। তারপর গণেশ উল্টে গেলো, এলো প্রজাতন্ত্র। শাসক তার মেজাজ-মর্জি অনুযায়ী রাজ্য শাসন করতে পারবেন না। জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শাসককে রাজ্য চালাতে হবে। যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শাসককে জনগণের মতামত নিতে হবে। কারণ শাসককে জনতা ক্ষমতায় বসিয়েছে, ক্ষমতা প্রাপ্তির সাথে রয়েছে জনতার সম্পৃক্ততা। এক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্ন রয়ে যায় যে, জনগণ একটা অনেক বড় বডি, তাদের সকলের একই ইচ্ছা-অনিচ্ছা হতে পারেনা। রাজ্য বা দেশের সকলের জন্যই গ্রহনযোগ্য এমন কোন নীতি নাই, হতে পারেনা। তাহলে সেই ক্ষেত্রে করণীয় কি? করণীয় একটিই, সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে প্রাধান্য দেয়া। সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছাকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের নীতিই ঐ দেশের রাষ্ট্রীয় নীতি, সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষাই ঐ দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা, সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মই ঐ দেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম, সংখ্যাগরিষ্ঠের সংস্কৃতিই ঐ দেশের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি, ই্ত্যাদি। এটাই গণতন্ত্র।
Categories