রুবাই ১১০, ১১১, ১১২, ১১৩, ১১৪, ১১৫
——————————————- রমিত আজাদ
১১০।
ছাতার নীচে দাঁড়িয়ে দুজন, মেঘলা দিনে আকাশ দেখে!
আকাশ তো নয় রঙের খেলা, খেলছে তাদের হৃদয় মাঝে!
মনের কোনে গড়ছে স্বপন, যেমন গড়ায় বৃষ্টি ধারা!
মুক্ত হাওয়ায় ঝড় উঠেছে, ফুটছে আবেগ পাগলপারা!
১১১।
সাম্যবাদের ঝান্ডাধারী, দলের নেতা শ্রমিক হেড।
লেট করিয়া, শেষ বয়সে, হজ্ব করিলেন কমরেড।
গেট খুলিয়া পাঞ্জাবী গায়, ভাতের দোকান ছোট্ট পেট!
ভাতের সাথে জুয়ার রুলেট, এখন তিনি জগৎ শেঠ !!
১১২।
আমিও ভেজাবো চরণ রোষানল সমুদ্রজলে,
মাখিবো নোনতা সলিল, অপরূপ গাঙচিল ছলে।
সিক্ত বাতাস মেখে নেব গায়ে, কত নিদারুণ ভুলে,
তড়িৎ-শিখায় ঝাঁপটানো জল, ফুঁসিবে সাগর কূলে!
১১৩।
এক ঝাক রোদ্দুর, আমাদের চৌকাঠে,
দেয় হানা দুদ্দার, সকালের মৌপাতে।
মোরগের ডাকাডাকি ঝুঁটিবাধা শিরেতে,
পাখীদের কিচিমিচি শাখাচূড়া নীড়েতে।
১১৪।
হয় না ছুটি, নাই অবসর, হচ্ছে না তাই প্রেম-অভিসার!
চন্দ্রিকা মোর রাগ করনা, জীর্ণ আঁখি জল ভরোনা!
সব কথা মুই রাখছি লিখে, মাস ফুরোলে কাব্যি হবে,
আসছে ঈদে ছুটির ফাঁদে, পড়বো গীতি, দিব্যি তবে।
১১৫।
হাতছানি দেয় নিশির তারা, বানভাসী হয় জোছনা,
মুহুর্মুহু ডাকছে তিথি, হাঁকছে নদীর মোহনা।
আকুল মন আজ ছুটবে পানে, অচিন দেশের পাথারে,
রুখবে কে তায় শীর্ণ হাতে, খুঁজবে রাহা আঁধারে।
————————————————-
রচনাতারিখ: ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২ টা ১৩ মিনিট