রুবাই ১৩১, ১৩২, ১৩৩, ১৩৪, ১৩৫
———————————- রমিত আজাদ
১৩১।
কবির কথা চন্দ্রলেখা, ছন্দবাণের মুগ্ধতা!
ছবির গাঁথা মন্ত্রমাখা, বর্ণসুধার হৃদ্যতা।
কাব্যে ওঠে জীবন ব্যাথা, ঐকতানের সঙ্গীতি,
চিত্রে ফোটে বর্ণালী সুখ, শুভ্র-সুনীল ঝংকৃতি!
১৩২।
প্রেম-পুরাণের রথে চড়ে, চলছে বধু প্রণয়পুর,
চতুর্দোলায় দুলছে বধুর, স্বপ্নসুখের সপ্তসুর।
নও নিবাসে গড়বে সে তার, স্বপ্নসুধা তাজমহল,
দ্বীপান্তরের রাজপুত্তুর গড়িয়ে দেবে নিদমহল!
১৩৩।
উড়ছে নিশান, বিজয় বিশান, লাল-সবুজের ঝান্ডা এক,
দুলছে ভীষণ, সবুজ কিষাণ, রক্তজ্যোতির জেল্লা দেখ!
ধানের ক্ষেতে সূর্য উঠে নকশা আঁকে জয় কেতন,
বীরবাহুদের শৌর্য পণে আসলো হাতে এই রতন।
১৩৪।
সব প্রেম প্রেম নয়, শোন বন মালিনী,
সব মালা মালা নয়, বুঝে নিও কামিনী।
জীবনের পথে হেটে যবে তুমি শ্রান্ত,
এই বুকে ঠাঁই নিয়ে হতে পারো শান্ত।
১৩৫।
এবার পথিক পথের শেষে, পথের পানেই চায়।
পথ ফুরালো কে বলে তা? পথের টানেই ধায়।
পথ আমাদের পথেই টানে, পথেই ওঠে ঝড়,
আলোর দিশা, আঁধার নিশায়, পথই মোদের ঘর,
——————————————–
রচনাতারিখ: ৩রা অক্টোবর, ২০১৯
সময়: দুপুর ২টা ২৫ মিনিট