রুবাই ১৩৬, ১৩৭, ১৩৮, ১৩৯, ১৪০
———————————- রমিত আজাদ
১৩৬।
আবহাওয়া তুই তার মুডের মত, ক্ষণে ক্ষণে বদলাস।
এই রোদ, এই বৃষ্টি, এই তো আবার ঝড়ের পূর্বাভাস!!!
তবুও তোকে মেনে থাকতে হয়, তাকে মেনে থাকার মত!
এভাবেই কেটে যাবে দিন, ক্ষণ, মাস, বছর যত!!
১৩৭।
দেহের মাঝে ঘড়ি আছে, ঘড়ির কাঁটায় কম্পন,
দেহের মাঝে নদী আছে, নদীর বুকে স্পন্দন।
দেহ ঘড়ির জটিল দোলন চিত্ররেখায় মন্দন,
সময় শেষে চিত্ত অহং ছাড়বে দেহের বন্ধন।
১৩৮।
শিশির দেখেছ জল দেখোনি, আঁখির কোনে জমা,
নয়ন তারায় দীপ্তি দেখেছ, দেখোনি মাধুরী রাঙা!
শতদল তায় ফুটিয়াছে কত, রাঙিয়াছে অন্তর,
সরোবরে তব স্নানের ছলেতে চাহিবো দ্বীপান্তর!
১৩৯।
একফালি পোড়া চাঁদেই সেজেছে রাতের আঁধার দ্বীপ,
মুক্তি বাণির বীনায় বাজে না, মুক্ত বাকের গীত।
হোমানলে জ্বলে বহ্নিশিখা, পুড়িতেছে বন্ধন,
রিক্তের গান সুরের অভাবে নিষ্ফল ক্রন্দন !
১৪০।
রিক্ত গগনে উঠুক আবারো লুপ্ত হারানো চাঁদ,
অগ্নি-বজ্র ভাঙুক আবারো সুপ্ত বিছানো ফাঁদ।
শিখণ্ডী বীর তামাশা রাখিয়া সাজাও রণাঙ্গন,
শঙ্খধ্বনির শব্দ তাতিয়া মাতিয়া ভরাও অঙ্গন!
—————————————————
রচনাতারিখ: ২৫শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়: রাত ১২টা ৫২ মিনিট
Ramit Azad