রুবাই ১৪১, ১৪২, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৫
———————————- রমিত আজাদ
১৪১।
কাজল পড়া নয়ন দুটির কালো মেয়ে নাচে,
নাচের তালে নূপুর তাহার রিনঝিনঝিন বাজে।
ঝাপসা চোখে সেই মেয়েটিই কাহারে যে খোঁজে?!
দিলের দরদ অমন মেয়ের, কোন দরদী বোঝে!?
১৪২।
কান্না ঝরে কার? অশ্রু গড়ে কার? বর্ষা নামে কার?
মন ভেঙেছে যার! দিল গলেছে যার! ভগ্ন হৃদয় যার!
ব্যর্থ জনম কার? রিক্ত জীবন কার? শূন্য পরাণ কার?
হৃদয় হারা যার! বুক ভেঙেছে যার! অসাড় জীবন যার!
১৪৩।
ছন্দ কভু বন্ধ না হয়, অন্ধ পথে ধন্দ না হয়!
নন্দ যেন দ্বন্দ না হয়, গন্ধ যেন মন্দ না হয়!
নিবিড় তিমির চেতন হারা, আঁধার অকূল রাতি!
দেখবে আলোক পাগলপারা! জ্বাললে মনের বাতি!
১৪৪।
সাত সাগর আর তেরো নদীর ঐ পারে এক দুঃখিনী,
হাতছানি দেয়, ডাকতে আমায়, বলছে সে যে বন্দিনী!
স্বপ্ন মাঝে বার্তা পাঠায়, পথঘাট দেয় চিনিয়ে,
অগ্নিরথের ঘোড়ায় চড়ে, আনবো তাকে ছিনিয়ে!
১৪৫।
যাহারা, শ্বাপদ রোগ জরা ভুলে, ভরিল ধরণী ফলে আর ফুলে,
সোনার মাটিতে ফলালো ফসল, তারাই খাঁটি কনক আসল।
যাহারা কঠিন মাটিরে হানিলো, নিজের হস্ত অস্থি ভাঙ্গিলো,
তারাই দেশের প্রকৃত বোদ্ধা, দুর্বার বীর আজাদী যোদ্ধা।
—————————————————
রচনাতারিখ: ২৬শে অক্টোবর, ২০১৯
সময়: রাত ১২টা ২৩ মিনিট