রুবাই ১৬১, ১৬২, ১৬৩, ১৬৪, ১৬৫
———————————- রমিত আজাদ
১৬১।
আশাবরি সুরে সুরে উড়ে উড়ে কোথা যায়?
আঁখি মেলে দেখে চাঁদ, তারা রবি ঝলকায়।
অসময়ে তরুশাখে পাপিয়া কি গীত গায়?
ইশারাতে ডাকে মেঘ, আশাবরি চমকায়!
১৬২।
চার পংক্তির কাব্য তারে নাম রেখেছে রুবাই,
চার চরনের পদ্য মালায় মন গেঁথেছে সবাই।
চারটি চরন, চারটি কথন, একটি আবেগ তোলে,
চার পংক্তির ঊর্মিমালায় মন যে সবার ভোলে!
১৬৩।
এখনো সাগরে ডোবেনি সূর্য, জাগেনিকো শর্বরী,
পাখীদের গান এখনো থামেনি, গাহিতেছে কিন্নরী।
এখনো তমসা নামেনি জাঁকিয়া, বুজেনিকো ফুল্লরী,
কিছুটা আঁধার, কিছুটা আলোকে চমকিছে বল্লরী!
১৬৪।
নীল নদীটির নীল জলেতে বৃষ্টি পড়ে টুপটাপ,
নদীর তীরে মিষ্টি মেয়ে, বৃষ্টি মাখে চুপচাপ।
মেয়ের শাড়ী সুনীল বসন, রূপ চাপে না অম্বরে!
ফুলের শোভা তার হাসিতে, রৌদ্রজ্যোতি নও ভোরে!
১৬৫।
এই তো তোমার বয়স সখী, বান ভাসানো জীবন-ঢল!
এই তো তোমার বয়স সখা, জলতরঙ্গ টালমাটাল!
নও জোয়ারের ইছামতি, ফেল ভেঙে বাঁধ টলমল,
রবির আলোয় জ্বলরে সখা, খঞ্জরে তেজ ঝলমল!
—————————————————————
রচনাতারিখ: ৩রা নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২টা ৪৩মিনিট