রুবাই ১৬৬, ১৬৭, ১৬৮, ১৬৯, ১৭০
———————————- রমিত আজাদ
১৬৬।
আইনের গর্জনে সাধু করে হাহাকার!
পেয়াদার লাল চোখে তর্জন পারাবার!
কাক শুধু কালো নয় স্বরটাও কর্কশ,
আমরা তো হতভাগা সাদামাটা খরগোশ!
১৬৭।
ঝলমলে নদীটির টলমলে জলেতে,
অতীতের কত কথা ভেসে গেছে ছলেতে!
উৎসুক নদীমাতা সুখদুখ বোঝেনা,
বয়ে চলে অবিরত, খুঁজে ফেরে মোহনা।
১৬৮।
প্রকল্প রূপায়ণে রূপা লাগে ঢের ঢের!
টংকার ধ্বনি বাজে, কাজে নাই হেরফের।
ক্ষণে ক্ষণে বেড়ে যায় বাজেটের ধাক্কা!
যায় যাবে যাক টাকা, রূপায়ণ পাক্কা!
১৬৯।
কাকতাড়ুয়ার কাক কেন যে, ধানের ক্ষেতে নাচ নাচে?
হুতুম প্যাঁচায় ডায়েরী লেখে, শিয়াল কষে মারপ্যাঁচে!
ময়ুর কেন পেখম তোলে? ময়ুরী তো সব বোঝে!
বাদুর ঝোলে বীজলী তারে, বাজ বেরুলো কার খোঁজে?
১৭০।
নিঃসাড় নিঝ্ঝুম যামিনী, দুঃখিনীর ক্রন্দন শোনেনি।
অশ্রু সে ঝরিয়েছে নীরবে! শীৎকারে মাতিয়েছে সরবে।
দুঃখিনীর মনোব্যথা কার চাই? কাম্য তো উত্তাল লীলাটাই!
চিৎকারে নটরাজ হিন্দোল, দীপালোকে লীলাবতী হিল্লোল।
—————————————————————
রচনাতারিখ: ৮ই নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: রাত ১২টা ৫৬মিনিট
Rubai 166, 167, 168, 169, 170
——————– Ramit Azad