রুবাই ১৯১, ১৯২, ১৯৩, ১৯৪, ১৯৫
——————————— রমিত আজাদ
১৯১।
হলুদ পাতায় ছোপ গোলাপী, রঙের ছটায় বাহারী!
পাপড়ি গেঁথে বুনছে মালা, শাখের ছোঁয়ায় শিহরি!
মরুৎ ছোটে বন মারিয়ে, কাঁপছে তরূ থরথর,
বিস্ফোরিত বনের আঁখি, আন্দোলিত কোন জোয়ার!
১৯২।
গানের পাতার স্বরলিপি, গানের কথার সুর,
রূপ ছাপিয়ে, দেয় ভাসিয়ে, মেঘ সরিয়ে দূর।
সুরের ঢেউয়ে মাতম থাকে, তরঙ্গ মন দোলে,
ঊর্মি নাচে, ছন্দ তালে মেঘবালিকার কোলে।
১৯৩।
বিহবল অপ্রতিভ ছিলে ভীরু তরুণী,
হাতে রেখে হাত তার হলে আজি ঘরণী।
মনে পড়ে ছিলে কবে অপরের প্রেয়সী,
বেঁধে ঘর সুখী হও, মোর মন মানসী।
১৯৪।
এখন তোমার কন্যা আছে, তুমি নিজেই মাতা,
তবু তোমার রূপের ছটা নীলমনি নীল লতা।
রূপের সুধায় জেল্লা ছড়াও দীপ্ত রত্ন-মণি,
ভূবন ভোলাও দৃপ্ত দোলায় তপ্ত রক্তচুনী।
১৯৫।
লাল শাড়ীতে, লাল চুড়িতে মানায় তোমায় বেশ!
রূপের সাগর সাঁতরে গেলে কোন তীরে তার শেষ?
মণিহারের কারুকাজে, রঙ লেগেছে শিরিন সাজে,
ঝুমকো লতা কর্ণে বাজে, মণি হাসে উপল লাজে।
————————————————————–
রচনাতারিখ: ২২শে নভেম্বর, ২০১৯ সাল
সময়: সকাল ৭টা ৪৩ মিনিট
Rubai 191, 192, 193, 194, 195
—————————– Ramit Azad