রুবাই ২৩৬, ২৩৭, ২৩৮, ২৩৯, ২৪০
———————————- রমিত আজাদ
২৩৬।
ঘুম ভেঙে তায় দেখতে পেলাম ফুলদানিতে ডালিয়া,
কাল বিকেলে তোমার দেয়া; মন মাধুরী ঢালিয়া।
ফুলের হাসি ঝরছে অঝোর, ঘরখানি মোর জুড়ে,
চোখ বুঁজলেই সাঁঝ অভিসার, আসছে ফিরে ফিরে!
২৩৭।
মুনাফিক বেঈমান জাফর আলী, উমিচাঁদ,
খামচায় কলিজায়, বারে বারে পাতে ফাঁদ।
ধোঁকা দিয়ে সকলেরে সৃজিতেছে হাহাকার!
ভেঙ্গে-চূড়ে পলাশীরে, জ্বেলে-পুড়ে ছারখার!
২৩৮।
কেন তুমি আড়াল হলে? কেন হলে পলাতকা?
তৃষ্ণাতুরে কষ্ট দিয়ে, পুলক কি পাও, সাগরিকা?
দিশেহারা এ মন আমার ফেলেই চলে দীর্ঘনিঃশ্বাস!
বাতায়নের তারার রাতি, শ্রাবণ প্লাবন সবই হতাশ।
২৩৯।
পাখি আছে, শাখী আছে, আঁখিতটে আশমান,
তবু কেন একাকীনী? কেন জাগে অভিমান?
আলেয়া তো আলো নয়, তবু দেয় হাতছানি!
মরিচিকা বারি নয়, তাও ছোটে বিরহীনী।
২৪০।
চন্দ্রিকা আজ চোখ খুলেছে, ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি!
সঙ্গীতা কি বলবে কিছু? বাজলো কি তায় প্রণয় বাঁশি?
সারিকা আজ সুর সেধেছে, শৈল-শিরে প্রাণের মাতম!
কারিকা কি বাঁধলো নূপুর? নীলগিরিতে উঠবে নাচন?
—————————————————————
রচনাতারিখ: ০৭ই ডিসেম্বর, ২০১৯
সময়: সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিট
Rubai 236, 237, 238, 239, 240
—————————-Ramit Azad