রুবাই ২৮১, ২৮২, ২৮৩, ২৮৪, ২৮৫
—————————————– রমিত আজাদ
২৮১।
কাল পড়েছ নীল শাড়ি আর কাঁচের চুড়ি নীলাদ্রী,
আজ সাজিলে লাল চুড়িতে, লাল শাড়িতে দেহাগ্নি!
বহ্নিরূপে অগ্নিজ্বালায় ভস্মিভূত করিছো হৃদয়!
উত্তাপে পদ লিখিছে কবি সম্মোহনী কাব্যকথায়!
২৮২।
আসবে আবার জোয়ার জলে শীর্ণকায়া নদীতে,
জ্বলবে তারা আশার আলো রাত্রী আঁধার নিশিথে।
স্বপ্ন যদি নাইবা থাকে বাঁচবে মানুষ তায় কি নিয়ে?
যাক মুছে যাক কান্না-ব্যাথা, সুখ-লহরী আসুক ধেয়ে।
২৮৩।
বৃষ্টির সৃষ্টিতে খাল বিল থৈ থৈ,
বৃষ্টির দৃষ্টিতে নদী-নালা হৈ হৈ।
বৃষ্টিতে দাপাদাপি ছেলেবুড়ো হৈ চৈ!
বৃষ্টির ফোটা জলে অরণ্যে ফোটে খৈ!
২৮৪।
চঞ্চলা এক প্রজাপতি তুমি, মেলেছ রঙিন পাখনা!
খুলেছ দুয়ার, সুধা অভিসার, মিতালির ডাক থাক না!
প্রসারি বাহু স্বপ্ন রাখিতে, মাখিলে কাজল মায়াবী আঁখিতে!
সঁপিতে পরাণ লগ্ন-তিথিতে, জ্বালিলে দীপালি বহ্নি শিখাতে!
২৮৫।
বড় হয়ে গেলে বালিকা তুমি যে! হয়ে গেলে ভরা শশী!
কোথায় কিশোরী কুণ্ঠিত লাজ? কোথা সে ডরালু হাসি?
একদা নিভৃতে নিবিড় কদমে আসিতে যে ভীরু পাখি,
বলিষ্ঠ মনে প্রত্যয়ী আজ আত্মবিশ্বাসে উঠিলে ডাকি!
—————————————————–
রচনাতারিখ: ২৭ই জানুয়ারী, ২০২০
সময়: রাত ০২টা ১৯মিনিট
Rubai 281, 282, 283, 284, 285
————————- Ramit Azad