রুবাই ৩৯১, ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৪, ৩৯৫
—————————————– রমিত আজাদ
৩৯১।
নীল গগনের টিপ কপালে, ঢেউ দরিয়ার কেশ,
লাল পেড়ে ঐ সাদা শাড়ি, মানিয়েছে তো বেশ!
রংধনু রঙ গলার মালা লুটিয়ে পড়ে বুকে,
রূপ-ললিতা মুক্তো মণি হাসছে পরম সুখে!
৩৯২।
চোখ দুটো তার আকাশ পানে, দিকচক্র দেখে,
গুল্ম সারি পাশেই আছে, রোদের মায়া মেখে।
কাঠের থামে হেলান দিয়ে মুক্তো মণি আনমনা,
একটু দূরেই দরিয়া উথাল, দেখে শাড়ির আল্পনা।
৩৯৩।
আল্পনাটাই জড়িয়ে আছে মুক্তো মণির পেলব কায়া,
বিকেল বেলার রোদ পড়েছে, এই প্রহরের কেমন মায়া!
সূর্য ডোবার বর্ণালীতে স্বর্ণালী তার মুখের প্রভা,
মুচকি হাসির ফুলেল শোভায় সন্ধানী তার দৃষ্টি শোভা!
৩৯৪।
ভাবছো কি আজ এই বেলাতে, আবেগ সোহাগ সেই পুরাতন?
সময় স্রোত আর পিছ ফিরেনা, ঢেউ ছুটে যায় খুঁজতে নুতন।
আমার তো বেশ মনেই পড়ে, সাঁঝ বিকেলের গল্পকথা,
হয়তো তুমি ভুলেই গেছো, চন্দ্রিমাতে নকশা কাটা!
৩৯৫।
সব পোষাকেই মানায় তোমায়, তুমি যে এক রূপের যাদু!
তবুও তোমায় শাড়ির শোভা, রাণীর সাজেই সাজায় শুধু!
পাহাড় ছোঁয়া দরিয়াটির রূপ-সুষমাও হার মেনেছে!
মুগ্ধ নয়ন আজ প্রকৃতির, তোমার কাছেই রূপ যেচেছে!
রচনাতারিখ: ৪ঠা জুন, ২০২০ সাল
সময়: রাত ০১টা ০৭ মিনিট
Rubai 391, 392, 393, 394, 395
——————————- Ramit Azad