রুবাই ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪
———————- রমিত আজাদ
৩৯।
সর্পরাণী ফোঁসফোসানি, তুই যে আশীবিষ,
দংশনে তোর রূধির সবিষ, প্রাণ কাড়িয়া নিস!
এক ছোবলে জহর ছড়ায়, সংজ্ঞা হারায় অভাগা!
আর কতকাল দংশাবি তুই? চুম্বনে তোর অশুভা!
৪০।
তুমি যদি হইতা নদী, আমি হইতাম তরী।
তোমার বুকে ভাইসা যাইতাম, নিরুদ্দেশের বাড়ী।
অথৈ জলে ডুইবা দেখতাম, গভীরতার মাপ!
ডুব সাঁতারে বুইঝা নিতাম, নিবিড়তার তাপ!
৪১।
বাইয়া যা রে মাঝি তু নাও, অকুল নদীর জলেতে,
উথাল পাথাল নাচবে তরী, গাঙের ঢেউয়ের তালেতে!
প্রাণ ভোমরা কাঁদাবে মন, দুই নয়নের ছলেতে,
পল্লীবালায় বুক ভাসাবে, উদাস আঁখি জলেতে!
৪২।
এই যে তোমরা কিনছো গরু, আজমপুরের হাটেতে,
সাতরঙা সব সামিয়ানা উড়ছে দেশের মাঠেতে।
হাঁক দিয়ে তাক লাগায় ক্রেতা, দাম শুনে তার বেজায় চোট!
হাটের হাসিল তুলছে ডিলার, গুনছে নতুন টাকার নোট।
৪৩।
মাতা যান মার্কেটে, কেনাকাটা আছে তার,
ব্যাগ ভরে কিনলেন মিলালেন বারবার।
জামা হলো মেয়েটার, জুতো নিলো ছেলেটা,
স্বামী পেলো পাঞ্জাবী, দিল খুশ মাতাটা!
আপনারা ভাবছেন, মাতাটা তো পেলো কি?
ঘানিটানা সংসারে বাজেটের ঘাটতি!
৪৪।
দুঃখ কথা লিখবো না আর, আজ তো খুশির দিন!
খুশ মনে তুম ঈদ করো ভাই, আমল করো দ্বীন।
নিজের খুশি দাও বিলিয়ে, দান করো তায় যেই চাহে,
ত্যাগের মূল্য নাও বুঝে নাও, দুহাত তোল ঈদগাহে।
—————————————–
রচনাতারিখ: ১২ই আগষ্ট, ২০১৯
(পবিত্র ঈদ-উল আযহার দিন)
সময়: রাত্রী ১২টা ২০ মিনিট