রূপসী ও তরঙ্গ
রূপসী ও তরঙ্গ:
———————— রমিত আজাদ
১৯৯৬ সালে বৃটিশ কাউন্সিল থেকে বাসায় ফিরছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে পাস করে।
আমি তখন সদ্য মাস্টার্স শেষ করা টগবগে তরুণ!
ক্যাম্পাসের সবুজ ও ফুলেল বনানীর ভিতর এক রূপসী আমার কাছে এসে মিষ্টি হেসে সুরেলা কন্ঠে বলে, “তরঙ্গ কি চলে গেছে?”
খুশী হওয়ার পরিবর্তে আমার মেজাজ গেলো গরম হয়ে!
তার বয়ফ্রেন্ড গেছে না আছে, তার আমি কি জানি?!
ভাবলাম কড়া কিছু বলি। পরক্ষণেই ভাবলাম, না বাবা দরকার নাই। যেমন রূপসী, তার বয়ফ্রেন্ড তরঙ্গ বড় মাস্তানও হতে পারে!
তাই সাবধানে বললাম, “আমি ঠিক বলতে পারবো না।”
রূপসী তারপরেও কিছু সময় দাঁড়িয়ে রইলো।
ভাবলাম, সে কি আলাপ জমাতে চায়?
কিন্তু আমি আর ঐ লাইনে গেলাম না। তরঙ্গের সাথে ক্যাচাল লাগলে ফল ভালো নাও হতে পারে।
পরে জেনেছিলাম, ‘তরঙ্গ’ একটি বাসের নাম।
বিস্তারিত তো লিখিনাই।
বিস্তারিত লিখলে পাঠকদের আফসোস আরো বেড়ে যেত।
মেয়েটিকে আমার পছন্দ হয়েছিলো। চোখ ধাঁধানো রূপ! আর সেতো নিজে থেকেই এগিয়ে এসেছিলো!
কাছেই চটপটির দোকান ছিলো। নির্দ্বিধায় বসা যেত।
হয়তো সেইদিনই হয়ে যেত দেশ কাঁপানো কোন প্রণয়ের সূত্রপাত!
বাংলা সাহিত্য হয়তো পেত কালজয়ী একটি উপন্যাস।
কিছুই হলো না! বড় একটি সম্ভাবনা কুঁড়িতেই ঝরে গেলো!
সব কিছু ভেস্তে গেলো, ঐ হতচ্ছাড়া ‘তরঙ্গ’-টার ভয়ে!!!!!!!!!!!!!!!!!