–সাকি বিল্লাহ্
ক্লান্ত দুপুর, বিস্তৃত নীল আকাশে
এক খন্ড সাদা মেঘ সরে যাচ্ছে বাতাসে
ভরা নদী, স্রোতের টানে চলছে নৌকা
পাল তোলা নৌকা, বাইছে মাঝি একা
হঠাৎ মেঘ, চারিদিকে ছেয়ে গেল কালোয়
সূর্য হারিয়ে, বৃষ্টি শুরু হল এই অবেলায়
বৃষ্টি থেমেছে, ভেজা কাকগুলো কোথায় ?
যাচ্ছে বুঝি রৌদ্র স্নানের আশায়
মুরগি, হাঁস, গরু কিংবা পশুপাখি যত
ভিজে চুপসে গেছে হাওয়াই মিঠাইয়ের মত
রাস্তার পাশে বসে থাকা কুকুর ছানাটি
তাকেও ভিজিয়েছে শরতের এই বৃষ্টি
মেঘগুলো হারিয়ে গেল নিমিষে
বৃষ্টিও থেমেছে, আকাশ যেন ফ্যাকাসে
রৌদ্রের আলো, ঝলমলে উজ্জ্বল আলো
চারিদিকে মেঘের দৌরাত্ম কমালো
এ যেনো প্রকৃতি মাতার ভালোবাসার দান
শরৎ এর আকস্মিক মমতার টান
শরৎ মানে নতুন জীবনের ছোঁয়া
বাড়ায় তৃপ্তি ভালোবাসার মায়া
শরৎ এসেছে শরৎ এসেছে এবার
তাই নতুন সূর্য স্নানে ভেসেছে আবার
এই মেঘ এই বৃষ্টি অথবা সূর্যের হাসি
পরম আদরে ভরিয়ে দিয়েছো হে শরৎ মাসি
শরৎ মানে নব যৌবনা নদীর ধারা
বয়ে চলা অদ্যবধি অমিয় শূরা
তাই শরৎ মানেই জীবন চলা উর্ধ্বে
হঠাৎ বৃষ্টি কিংবা হাঠাৎ রৌদ্রে
ডাক পিয়নের চিঠি বিলির মত
হঠাৎ ডাক দিয়ে যায় শরৎ
শরতের ডাকে সাড়া দাও সবে
বৃদ্ধ, কিশোর, যুবক, শিশু মাতো কলরবে
আজ হলি খেলায় ভাটা পড়ুক
উল্লাসের বানে দুঃখ কাটুক
তোমারই কাছে ডাক এনেছে
খুশির জোয়ার বাধঁ ভেঙ্গেছে
শরৎ এসে ডাক দিয়েছে
নতুন জীবন দান করেছে
তাই শরতের আঁচল ধরে
হাজার মানুষ বাচুঁক মরে
শরৎ তোমার, শরৎ সবের
ডাক দিয়ে যাই শরৎ কালের ।।
–(কাব্যরেণু কাব্যগ্রন্থ হতে, প্রথম প্রকাশঃ জুলাই. ২০১২)
One reply on “শরতের ডাক”
nice and awesome poem. 😀