সস্তা প্রসাধনীর সাধনা
——————— রমিত আজাদ
প্রিয়াঙ্কার প্রসাধনী সস্তা ছিলো।
ওর অধরে অধর রেখে,
কপোলে কপোল ঘষে
নিয়েছিলাম ঘ্রাণ সেই সস্তা প্রসাধনীর।
তবে ওর কাঁচুলি ছিলো দামী,
নগরীর কোন অগ্নিমূল্য বিপণী
থেকে কেনা হতেও পারে।
যার নীচে লুকনো ছিলো,
উন্মত্ত আমার সবটা বিকেলের মায়া!
আর্শীর মসৃন পৃষ্ঠতলে মেলে দিয়ে বিলাসী কায়া,
প্রিয়াঙ্কা দেখিয়েছিলো, সে নয় কেবলই তরুণী,
চাতকী পুরুষের তৃষিত দৃষ্টি স্বীকৃতি দিয়ে বলবে,
“তুমি এক মোহিনী রমণী!”
দীপিকার প্রসাধনীও সস্তা ছিলো।
কাঁচুলিও ছিলো মামুলি।
সস্তা কাঁচুলির নীচে লুকনো
উত্তুঙ্গু পর্বতে ছিলো অদ্ভুত এক মায়া।
পরিণত দীপিকার পুষ্ট বক্ষে ভেসেছিলো খেয়া।
রমণী স্বীকৃতি পাওয়া
তার হয়ে গিয়েছিলো অনেক আগেই।
তবুও সে চেয়েছিলো পুরুষের ছোঁয়া,
আবেগের অভাব ফুরায় না কখনো।
পরিণত অপরিণত সব তৃষিত মনই চায়,
উচ্ছাসে আশ্বাসে উদ্ভাসিত প্যাশন-এর উষ্ণতা।
দীপিকা, প্রিয়াঙ্কা, মাধবী কিংবা মালতী,
সবার মনেই আজ ঘোর অনাবৃষ্টি,
সঙ্গীতের আজ বড়ই অভাব পুরুষের দৃষ্টিতে!
বিপ্লবী-রা পুড়ে ছাই হয়েছে প্রতারণার দাহনে!
পুরুষ নামের পরিচয় দেয়ার আর কেউই নেই বাকি!!!
————————————————————–
তারিখ: ১৩ই জুলাই, ২০১৮
সময়: রাত আট-টা পঁচিশ মিনিট।