
হাফ-প্যান্ট পড়া ভদ্রলোক-১: “সাহিত্য চর্চা ও পেশা বিড়ম্বনা”
–সাকি বিল্লাহ্
সেদিন এক মুরুব্বী জিজ্ঞেস করলেন আসলে তুমি কি হতে চাও? তোমার তো “মাথাই নষ্ট” একবার যাত্রাবাড়ির রোডে হাটো একবার গাবতলী । আমি বললাম, আংকেল বুঝলাম না । মুরুব্বী উত্তর দিলেন, তুমি একবার প্রোগ্রামার, একবার ওয়েবসাইট ডেভলাপার, এক বার লেখক, একবার কবি, একবার বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে কাজ করো আসলে তুমি কি করতে চাচ্ছ??
আমি মৃদু হাসলাম আর উত্তর দিলাম, আংকেল, একজন মানুষ কি বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন প্রেক্ষিতে কাজ করতে পারে না, চেগুয়েভারের ১৭টা পরিচিতি ছিল আর আমার যদি ৭/৮ টা থাকে তাহলে প্রবলেম কোথায় !
ধরুন আপনি আপনার অফিসে কলিগ, বন্ধুদের কাছে ভাল বা খারাপ বন্ধু, মা-বাবার কাছে সন্তান, স্ত্রীর কাছে স্বামী, সন্তানের কাছে পিতা, ভাইবোনদের কাছে ভাই বা সহোদর, শশুরবাড়ির কাছে টাকার মেশিন, দোকানদারের কাছে খদ্দের ইত্যাদি । তাহলে আপনি একজন মানুষ আর পরিচিতি অনেকগুলো তাই একই মানুষের বিভিন্ন ইন্টারেস্ট থাকতেই পারে কারন যে রাধেঁ সে চুলও বাধেঁ ।
যদি নিজের গাড়ী না থাকে তাহলে আপনি ড্রাইভারের কাছে জিম্মি মানে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে উঠলে আপনার নিজের মতে গাড়ী চলবেনা সেখানে গাড়ী টা যদি গাবতলীর হয় তাহলে গাবতলী নামতে হবে আর যদি যাত্রাবাড়ির হয় তাহলে যাত্রাবাড়িই নামতে হবে, চাইলেও উত্তরা নামতে পারবেন না । অন্যদিকে যদি নিজের গাড়ী হয় তাহলে যা খুশি তাই করতে পারবেন মানে আপনি স্বাধীন, যেখানে খুশি চলে যেতে পারেন, কখনও গাবতলী আবার কখনও আমতলী, নো প্রবলেম ।
আংকেল মনে হল কিছুটা বিরক্ত হলেন, বললেন, আজকালকের ছেলেমেয়েদের মোটিভ বোঝাই মুশকিল । আমি উত্তর দিলাম, আংকেল রাগ করবেন না, এটা বাংলাদেশ, এখানে অনেক পেশায় কাজ না করলে না খেয়ে মরতে হবে আর গন্তব্য তো একটা আছেই, একটা পরিচিতি হচ্ছে প্রধান আর বাকি গুলো সাধারন ।
যদি শুধু লেখা লেখি করি তাহলে কয়েকদিন পর না খেয়ে মরতে হবে তাই তার পাশাপাশি অন্যকাজ করি ।
কারন এটা বাংলাদেশ, এখানে প্রকৃত মেধার মূল্যায়ণ হয় না, মূল্যায়ণ হয় সুরেশ খাটিঁ সরিষার তৈল আর মামা কাকার ।