মণির কন্ঠে মণিহার
————————– রমিত আজাদ
রিক্তের হৃদয় ভরা যতটাই ভালোবাসা থাকুক না কেন,
হাত তার শূণ্যতার ধুধু!
খালি হাতে কবিতা পাঠ হতে পারে,
মঞ্চ কাঁপানো নৈতিক ভাষণ হতে পারে,
কিন্তু কোনক্রমেই প্রণয় নিবেদন হতে পারে না!
তাই কখনোই তোমার সাথে মালাবদলের স্বপ্নও দেখিনি!
কবিরা স্বপ্নের কথা লেখে,
কিন্তু তাদের নিজ নিজ জীবনে অবাস্তব কোন স্বপ্ন দেখার দুঃসাহস করেনা!
কি প্রয়োজন বাস্তবতা ও আবেগের মধ্যে মিল খুঁজতে গিয়ে হিমসিম খাওয়ার?
পরিশেষে যে হাত তোমার গলায় মালা পড়িয়েছিলো,
তা ছিলো প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ এক হাত!
তুড়ি বাজালেও সে হাত থেকে মণিমুক্তা ঝরে!
তাই এখন তোমার পুরো শরীর জুড়ে রত্নসম্ভার বিপণী।
তোমার গলার ভারী মণিহার-টি খাঁটি সোনায় তৈরী, তাইনা?
অমন রূপসীর কন্ঠে মণিহার না হলে কি মানায়!
আচ্ছা পড়নের বাহারী বসনটিতে কি সোনার কাঁরুকাজ আছে?
কিংবা খচিত রত্নপাথর?
হাতে পুরুষ্টু সোনার বালা!
কানে অমন দীর্ঘাকৃতি ঝুমকা সচরাচর চোখে পড়ে না!
অনামিকার অঙ্গুরীর ঝলকানী দেখলেই বোঝা যায়,
ওটা হীরের চমক!
দীঘল কালো চুলে সোনালি ডাইয়ের ছোঁয়া,
তোমাকে করেছে ঈষৎ স্বর্ণকেশী।
তপ্ত তনুর জরিন রূপে সিক্ত সমীর বহিছে নিরালা,
গগনের ভালে তুমিতো পূর্ণ শশী!
ভালোই লাগে তোমার ধনাঢ্য সাজ-পোশাক দেখে!
আমার বধু হলে, আমি তোমাকে অমন সাজে সাজাতে পারতাম না।
আটপৌরে পোশাকে কি আর তোমাকে মানাতো বলো?
অমন ঝলমলে রূপসীরা আমীরের তিমির ঘরের ঘিয়ের প্রদীপ হবে এটাই তো রীতি, তাইনা?
Necklace in Her Neck
——————– Ramit Azad
১১ই মে ২০২১ সাল (কবিতাটি লেখা শুরু ও শেষ চার লাইন ফেবু-তে প্রকাশিত)
পূর্ণ কবিতা রচনা তারিখ: ১৮ই মে, ২০২১ সাল,
রচনাসময়: রাত ০২টা ৪৫ মিনিট