গল্পের ভেতরে সাপ শুয়ে থাকে। সংগোপনে।
রাত বাড়ে।
গল্প ঘুমোলে কবিতা জাগে।
সাপ ফণা তোলে। বিষ ঢালে।
ডালে ফুটফুটে ফুল হাসে।
Author: শঙ্কর দেবনাথ
নামঃ শঙ্কর দেবনাথ
জন্মঃ ২১/১১/১৯৭৬
প্রকাশিত গ্রন্থঃ
কাব্যগ্রন্থঃ ১) আত্মহনন অথবা মৈথুন
২) শিয়রে নীলাভ জ্বর
ছড়ার বইঃ ১) দুধমাখা ভাত
২) ফাটকা কথার টাটকা ছড়া
৩) টক ঝাল তেতো কড়া
সম্পাদিত পত্রিকাঃ
ভোরের পাখি ( ছোটদের পত্রিকা)
বাঘ-হরিণের ছবি/ শঙ্কর দেবনাথ
সোঁদরবনের বাঘ এঁকেছে
তোতনমনি খাতায়,
লোলুপ চোখে বাঘটা কেবল
এদিক সেদিক তাকায়।
বাঘের পাশে নাদুসনুদুস
হরিণ আঁকে যেই,
লাফ দিয়ে বাঘ হরিণের ঘাড়
মটকে দিল সেই।
প্রকৃত প্রণয়
সাগর দাঁড়িয়ে থাকে দু’বাহু বাড়িয়ে
আর নদী ছুটে যায় প্রণয় তৃষ্ণায়
নদীর হৃদয় থেকে সমর্পণ মন মেখে
সাগর ডাগর হয়
এভাবেই
দয়িতের বুক খোঁজে প্রকৃত প্রণয়–
কবিতারা / শঙ্কর দেবনাথ
রাতের সমস্ত চোখে ঘুম এলে
চুপি চুপি কবিতারা ঘরে ঢোকে
তছনছ করে দেয় আটপৌরে প্রেম
আর দেয়ালে খেয়ালে লেখে
মহাকাল ধারা—
তুমি পোড়ো – আমি পুড়ি –
ফুল হয়ে ওড়ে কবিতারা —
পরমাণু গল্প
মুখ ঘামে।
কথারা থামে।
রাত্রি নামে।
যাত্রীহীন।
চোখ শুধু চেয়ে থাকে।
শব্দরা নিঃশব্দে প্রেম মাখে।
মনে।
কোণে।
কবিতা ডাকে।
– এসো!
কবি বলে।
– এভাবেই—
ভালোবেসো!
মহান পুরুষ তিনি
সমাজের বরণীয়,
বড় বড় ভাষণেতে
জানান কীকরণীয়।
অশ্রু ঝরিয়ে কন-
স্বদেশকে বাঁচারে!
গোপনে জড়িত তিনি
হেরোইন পাচারে।
ছড়াঃ বাঁদর
বাঁদর বলে আদর করে
বিল্লুকে মা ডেকে –
বলেন- এবার ইস্কুলে যাও,
বাঁদরামিটা রেখে।
তোমার মাথায় দেখছি আমি
একটুও নেই ঘিলু,
বাঁদররা কি ইস্কুলে যায়?
বলেই পালায় বিলু।
সাপ দেখেছো হিস হিসানো
পা দেখোনি সাপের,
ভূত দেখোনি, ঠিক দেখেছো
শ্রাদ্ধ ভূতের বাপের।
দেখতে পেলেও ঘুঘু, বোধ হয়
ফাঁদ দেখোনি ঘুঘুর,
ভয় পেয়ো না, যেমন কুকুর
তেমনি আছে মুগুর।
পৌরাণিক গাছ
বেগবতী বুকে বয় সুখে
শিয়রে নীলাভ জ্বর
বসে থাকে আর
লোহার বাসর ঘরে
লখিন্দর অঘোরে ঘুমোয়
অহমের হাত ধরে
সোহমের ওম এসে
সামনে দাঁড়ায়
মোহনা বাড়ায় হাত
নদীর হৃদয়ে খেলে
জাতিস্মর মাছ—
কবির হৃদয় এক পৌরাণিক গাছ।
গাছ লাগাও আর
সবুজ জাগাও,
ভাগাও মরু খরা,
শ্লোগান শুনে
রবির মনে
ইচ্ছেরা দেয় ধরা।
গাছ লাগানোর
নেই জমি ওর
তাই সারাদিন রবি,
ঘরের দেয়াল
ভরেই লাগায়
হাজার গাছের ছবি।
ব্যাঙ্গমা নেই
ব্যাঙ্গমী নেই
সু-সারিরাও নেই,
শুধুই আছে
ব্যঙ্গ মা গো,
অসুখ সারি এই।
রূপকথা নেই
রূপহারা সব
রূঢ়কথায় ভরা,
ফুলপরী নেই
ফুলটাইমই
পরীক্ষা আর পড়া।
পক্ষ আছে
লক্ষ্যে যাবার
কোথায় পক্ষী রাজ!
গান- এর ভয়ে
গান হারিয়েই
কাঁপছে পক্ষীরা আজ।
পরমাণু গল্প
গল্পের ভেতরে সাপ শুয়ে থাকে।
সংগোপনে।
রাত বাড়ে।
গল্প ঘুমোলে কবিতা জাগে।
সাপ ফণা তোলে।
বিষ ঢালে।
ডালে ফুট ফুটে ফুল ফোটে।
কিল মারে- ঢিল মারে
কিল মারে, ঢিল মারে,
কেঊ মারে টাকা,
শুধু নাকি চোখ মারে
হারানের কাকা।
পরমাণু কবিতা
তোমার শরীর থেকে
টুপটাপ ঘাম পড়ে
ভালবাসা ভিজে ভিজে
অঙ্কুরিত হয়
শর্ত হলো-
অর্থ হলে
মর্তের পথ
গর্তহীন,
অর্থহীন
জীবন যাদের,
তাদের জীবন
অর্থহীন।