অন্দর মহল
–সাকি বিল্লাহ্
তোমার অন্দর মহলে ডেকে এনে,
সর্বনাশ করেছো আমার,
অন্তর অথবা অন্দর যা-ই বলো না কেন,
একই মোহে আকৃষ্ট করেছো,
এই রূপ মাধুর্যের ছলনায়;
ডেকেছো গহীনে গভীরে..
বাঁকা ঠোঁটের চমৎকার হাসিতে,
খুন হয়ে যাই বার বার,
অতপর সেই ঠোঁটের স্পর্শেই হয় পূনর্জনম,
রূপখানা কালের মহাস্রোতে হারালেও,
থেকে যাবে তোমার বাঁকা হাসি ।।
এই যে ঘন কালো চুলের ঘ্রানে,
মোহিত করেছো আমায়,
তারপর হঠাৎ জাগিয়ে দিয়েছো,
কোমল কন্ঠের সুরেলা স্রোতে ।।
রাগে অভিমানে কখনও বন্ধ করেছো সব,
তারপর অভিমান ভেঙ্গে,
হাতে হাত রেখে, চোখে ছলছল জল নিয়ে,
তাকিয়ে রয়েছো অনেক্ষণ,
সেই মৌন ইশারার চাহনির ভাষা,
আমি ছাড়া আর কে বোঝে !
তারপর হঠাৎ একদিন,
নীল আকাশটা হয়ে গেল ফ্যাকাশে,
সবুজ পাতাগুলো শুকিয়ে ধূসর হয়ে গেল,
ধীরে ধীরে মূমূর্ষু হয়ে গেল কৃষ্ণচূড়াটা,
তারপরও পাখিরা গাছটার ডালে বসে,
বসে আনন্দে গান ধরে;
সেই গান শুনে নতুন করে প্রান ফিরে পায়,
মৃতপ্রায় কৃষ্ণচূড়া গাছটা,
নতুন করে কুঁড়ি গজিয়ে উঠে সুউচ্চে,
নতুন করে স্বপ্ন দেখে তোমাকে নিয়ে,
কিন্তু এতদিন পরে আজ আর,
নেই কোমলতা তোমার,
নেই সুরেলা কন্ঠ অথবা সুশ্রীবদন,
একরাশ কালো মেঘে ঢাকা,
তোমার বাঁকা হাসি,
তবুতো তুমি আছো এই হৃদয়ে,
শতশত স্বপ্ন আর অভিমানে,
অথবা হারিয়ে যাওয়া সকল সুখ স্মৃতিতে ।।