শুনতে চাই না আমি কবিতা আর গান,
তোমার কণ্ঠে
দেখতে চাই না চাঁদ আর হাসি
তোমার মুখে
তুমি নর পশুর চাইতেও অধম
আমার মনে হচ্ছে
তুমি একটা ভয়ঙ্কর নর পিশাচিনী
তোমায় দেখতে চাই না ।
¯পর্শ চাই না শিশির বিন্দু মাখা
দূর্বা ঘাসের মত,
তোমার হাতের,
কারণ তোমার হাতের ¯পর্শে
আমি বিষাক্ত
তুমি বর্বর হায়েনা
কিংবা নরমাংশী পাকিস্তানী সেনা ।
তোমার সান্নিধ্য আমি চাই না
তুমি পাষণ্ড, অশিক্ষিত কুলাঙ্গার
তোমার কোন ভয়ঙ্কর রূপ
আমি দেখতে চাই না,
শুনতে চাই না আমি তোমার মুখ থেকে
“ভালোবাসি” শব্দটা
শুনতে চাই না..না….না….না ..।
তোমার সব কথাই আমি আজ
শুনতে চাই না,
কারণ তুমি রাক্ষুসী, অনেকটা
রাক্ষুসী নদীর মত
বুকের ভেতরের সব কুল ভেঙ্গে নিয়েছো তুমি ।
তোমার পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই
তোমায় ভালোবাসি না আমি
অভিশপ্ত কাউকে ভালোবাসা যায় না
আমি জানি ।
হিংস্র পশুর চাইতে অধম তুমি
আমি জানি
কারণ তোমার লোভ আকাশ সীমা পেরিয়েছে
অনেক আগে
অন্ধ হয়েছো তুমি লোভে
শত শত শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা যাচ্ছে না
তোমার সে লোভাতুর মনটাকে ।
বন্ধ কর সব পাখির গান কিচিরমিচির শব্দগুলো
শুনতে চাই না এসব , দেখতে চাইনা
তোমার অবয়ব
তোমার অবয়বে মনে পড়ে, কি নিদারুণ
কষ্টের অতীত
আহা ! সে কষ্টে আড়ষ্ঠ দিনগুলি
কত কষ্ট হয়েছিল আমার সে মুহূর্তগুলো
প্রতিটি সেকেন্ড পাড়ি দিতে
এক একটা সেকেন্ড
এর চাইতে ভালো হতো যদি কোনো
রাস্তার কুকুরকে ভালোবাসতাম
কোনো পাগলা কুকুরকে
সবাইকে কামড়ালেও আমাকে কামড়াতে দ্বিধা করতো
অথবা কোনো হায়েনাকে ভালোবাসতাম
ছিন্ন বিদীর্ণ করে আমাকে শেষ করলেও
ক্ষুধা মেটানোর পর
তার দুচোখ বেয়ে এক ফোঁটা
অশ্র“ ঝরতো অন্তত
কারণ সে ক্ষুধার তাড়নায় পশুত্ব গ্রহণ করেছিল
আর তুমি (হা..হা…হা..)
আমার ক্ষতের উপর বরঞ্চও
কিছু লবণ ছিটিয়ে দিতেও দ্বিধা বোধ করোনি ।
ভালোবাসার প্রতিদান শুধু ভালোবাসা জানতাম
কিন্তু তুমিই শেখালে প্রথম,
ভালোবাসার প্রতিদান ভালোবাসা নয়
কুৎসিত মনের প্রকাশ হল তোমার
চাঁদের মত তোমার মুখ আর
ভিতরকার তুমি,
কিছুতেই আমি মেলাতে পারছিলাম না
যাই হোক-
একটা পশুকে ভালোবাসলেও
সে বুঝতে পারতো আমার সে
অর্বুদ ভালোবাসা
কিন্তু আমি হতবাক হলাম
তোমার পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট রূপ দেখে
হঠাৎ তুমি বদলে গেলে
বিচিত্র সে রূপ তোমার
আমার মনে পড়লে এখনও
আঁতকে উঠি
কি অদ্ভুত তোমার সে পরিবর্তন
তোমায় নিয়ে কবিতা লিখছি
ভেবোনা, এটা তোমার জন্য কবিতা,
হ্যাঁ এটা আমার জন্য কবিতা
সবার জন্য কবিতা শুধু
তোমার জন্য একটা দুঃস্বপ্ন বাণী,
তোমার ধ্বংসই এখন আমার কাম্য
আমি বলিনি ।
আমি তো তোমার মতো
বিবেকহীন কোনো যন্ত্রমানব নই
তবে তুমি যা করেছো তার শাস্তি
তুমিই পাবে, অন্য কেউ নয়
তোমার ছলনার নাটক এর সমাপ্তি
তোমার রক্তের হলি খেলাতেই
শেষকৃত্য হবে ।
ভেবো না , স্রষ্টা কারও প্রতি
অসম বিচার করেন না
তোমার শাস্তি তুমি পাবেই
শীঘ্রই পাবে ।
নতুন করে তোমার মুখে শুনতে চাই না
আমি সুমধুর ভালোবাসার ডাক
খুবই বিরক্ত লাগছে তোমার সে আকুলতা
বন্ধ কর এসব
নতুবা চিরতরে বন্ধ করে দেব তোমার বাকযন্ত্র,
তাই আমি আর শুনতে চাই না
না…না….না….
শুনতে চাই না, দেখতে চাই না
পর্শ চাই না
ভাবতে চাই না তোমায়,
এ কবিতাই তোমায় নিয়ে শেষ ভাবনা
তারপর ভাববো না আর কোন দিনও
তোমায় নিয়ে ।।