জান্নাতের চাবি
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
=====================
জান্নাতের চাবি মাগো, মা তুমি বিধির শ্রেষ্ঠ অনুদান,
তোমার সেবা করে জীবন আমার হয় যেন অবসান।
মা যদি হয় কারো বিজাত অনুসারী,
তবু মায়ের, করতে হবে সেবা তোমারি।
থাকতে মা-ধন, কর যতন, দিয়া তোমার মনপ্রাণ,
জান্নাতের চাবি মাগো, মা তুমি বিধির শ্রেষ্ঠ অনুদান।
এই জগতে কত মূর্খ নেয়না মায়ের খবর,
হারিয়ে মা, জিয়ারত করে মায়ের কবর।
মূর্খমানব, লাভ হবেনা করলে মায়ের কবরের সম্মান,
জান্নাতের চাবি মাগো, মা তুমি বিধির শ্রেষ্ঠ অনুদান।
জন্মদাতা মাতা কারো হয় যদি অসতী,
তবু মায়ের সেবা বিনে নাইরে তোমার গতি।
মায়ের সেবা কর আগে, পাইতে বিধির কৃপা দান,
জান্নাতের চাবি মাগো, মা তুমি বিধির শ্রেষ্ঠ অনুদান।
এই সমাজে দেখি কত মূর্খ অকাতরে,
ধার্মিক সেজে বসে আছে মসজিদে, মন্দিরে।
হায়রে মূর্খ! কে বলেছে মাকে বাদে কর প্রভুর সেবা-দান,
জান্নাতের চাবি মাগো, মা তুমি বিধির শ্রেষ্ঠ অনুদান।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
Tag: সহিদুলের কবিতা
ইতিহাস, সে তো এক বহতা নদী

ইতিহাস, সে তো এক বহতা নদী,
স্বগতিতে বয়ে চলে নিত্য নিরবধি।
কেউ যদি চায় ইতিহাসের গতি
করতে রোধ,
ইতিহাস নেয় তার প্রতি উল্টো
প্রতিশোধ।
আজকে যারা ইতিহাসকে করতে
চাচ্ছে রেপ,
ইতিহাসের আস্তাকুরে হবে ওরা
নিক্ষেপ।
বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা হতে, করছি
আমি চয়ন,
বদলায় মানুষ, অবিচল থাকে
প্রজন্মের অয়ন,
“জলের যে পথ নিখাত হইয়াছে,
জল সেই পথেই যাইবে,
সে পথ রোধ কর,
পৃথিবী ভাসিয়া যাইবে।”
ঊনিশ’শ প্রচাত্তুর থেকে ৯০ সন,
সত্যকে যারা দিয়েছিল নির্বাসন।
ইতিহাসের কি নির্মম পরিহাস,
সত্যের অধিষ্ঠানে মিথ্যের সর্বনাশ।
আজো কিছু ভণ্ডের দল, এই
বাংলার মাঠে,
সাময়িক লাভের আশায়, উল্টো
পথে হাটে।
সময় থাকতে ওরা যদি না হয়
সাবধান,
ইতিহাসের আস্তাকুরে ওদের হবে
স্থান।
ইতিহাসকে কলঙ্ক দিয়ে, ক্ষমা কেহ
পায়নি অদ্যাবধি,
ইতিহাস, সে তো এক বহতা নদী,
স্বগতিতে বয়ে চলে নিত্য নিরবধি।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
লেখক_ অন্যধারা প্রকাশন
Sahidul_77@yahoo.comইতিহাস, সে তো এক বহতা নদী,
স্বগতিতে বয়ে চলে নিত্য নিরবধি।
কেউ যদি চায় ইতিহাসের গতি
করতে রোধ,
ইতিহাস নেয় তার প্রতি উল্টো
প্রতিশোধ।
আজকে যারা ইতিহাসকে করতে
চাচ্ছে রেপ,
ইতিহাসের আস্তাকুরে হবে ওরা
নিক্ষেপ।
বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা হতে, করছি
আমি চয়ন,
বদলায় মানুষ, অবিচল থাকে
প্রজন্মের অয়ন,
“জলের যে পথ নিখাত হইয়াছে,
জল সেই পথেই যাইবে,
সে পথ রোধ কর,
পৃথিবী ভাসিয়া যাইবে।”
ঊনিশ’শ প্রচাত্তুর থেকে ৯০ সন,
সত্যকে যারা দিয়েছিল নির্বাসন।
ইতিহাসের কি নির্মম পরিহাস,
সত্যের অধিষ্ঠানে মিথ্যের সর্বনাশ।
আজো কিছু ভণ্ডের দল, এই
বাংলার মাঠে,
সাময়িক লাভের আশায়, উল্টো
পথে হাটে।
সময় থাকতে ওরা যদি না হয়
সাবধান,
ইতিহাসের আস্তাকুরে ওদের হবে
স্থান।
ইতিহাসকে কলঙ্ক দিয়ে, ক্ষমা কেহ
পায়নি অদ্যাবধি,
ইতিহাস, সে তো এক বহতা নদী,
স্বগতিতে বয়ে চলে নিত্য নিরবধি।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
Sahidul_77@yahoo.com
রক্তে কেনা

বাংলা আমার মায়ের ভাষা,
একুশ আমার মান।
প্রতি বছর তাই দিয়ে যাই,
একুশের সম্মান।
মায়ের ভাষার তরে যারা
দিয়ে গেছে প্রাণ,
শ্রদ্ধার সাথে হৃদয়ে দিই
সেই শহীদের স্থান।
ফেব্রুয়ারীর একুশ তারিখ,
যাদের রক্তে গড়া।
বিশ্ব তাদের স্মরণ করে,
দিয়ে ফুলের তোরা।
আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস,
যাদের রক্তে কেনা।
কি দিয়ে শোধাবো মোরা?
সেই শহীদের দেনা।
রাখতে যারা বাংলার মান,
দিয়েছে জীবন, রেখেছে মান,
ধন্য মোদের বঙ্গ সন্তান,
বিশ্বে আজি তোমরা মহান।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
Sahidul_77@yahoo.com

মোদের জন্য সারা জীবন,
করেছেন যিনি সন্ধি,
দিবস নামের খাঁচাতে ভাই,
করিস না তারে বন্দী।
দেখেছি আমি সিঙ্গাপুরে,
বিভিন্ন দিবসে হায়,
ছেলে-মেয়েরা ফুল নিয়ে,
বাবা-মার সমাধিতে যায়
সিঙ্গাপুরীদের আছে ভাবনা,
আছে সরকারী নিয়ম-নীতি,
কেউ কর্মক্ষমতা হারালে পরে,
বৃদ্ধাশ্রম তাদের পরিণতি।
থাকতে বাবা-মা পাওনি সময়,
দেখতে তাদের মুখ।
সমাধিতে ফুল দিলে কি!
পাবে তারা সুখ।
থাকতে বাবা করতে সেবা,
করিস যদি ভুল,
যাসনে তোরা, সমাধিতে
দিসনা কভু ফুল।
তাইতো বলি থাকতে সময়,
কর বাবার সেবা,
মনে রেখ তুমিও একদিন,
হবে কারো বাবা।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী)
মেইল_ Sahidul_77@yahoo.com

During the day, in the diverse media we can see,
Democracy is starting in the Myanmar, may be,
Muslims are severely persecuted in the country,
It is what kind of Development of Democracy?
Buddhist-Muslim riots going on the Abakan state,
Many Muslim killed in riots by indiscriminate.
It is a repeat as same of Palestine history.
Rohingga are foreigner of his won country.
Hundreds of years, Rohingga lived state of Arakan,
They have won language, culture and won tradition.
Amaze! Refusal them as citizens, their government,
How can Myanmar stop the Buddhist-Muslim fight?
If any country of government refusal them as citizens,
We can say, they are willingly operating the violence.
Can they not consider them as man? Not as a Muslim,
Why, Myanmar people killing arbitrarily of them?
Where is humanity? Where is World Conscience?
World Conscience cannot see Myanmar’s violence!
Sometimes, some organization gives some speech,
Myanmar Government has needed to stop violence.
Reputable for peace in the Afghanistan operate a war
Why never pressures create to stop killing man of Myanmar?
By easy speech, Myanmar killing mission never can be stop.
All way & vantage of World Organization have need to off.
O, World conscience, comes forward for humanity,
Only by speech, we can not ending Our liability.
Oops! Tormented people, I cannot do nay other,
O, my Creator you may protect the helpless man of Myanmar.
Sahidul Islam (Singapore Expatriates )
Sahidul_77@yahoo.com
(Note_ Rohingga is one Nation of Myanmar,
Arakan is one state of Myanmar)
[It is my small attempt to stop oppression against persecuted Muslims people of Myanmar.]

ভাবতে আমার অবাক লাগে, শোনরে বলি শোন,
মানুষ হয়ে আরেক মানুষ কেমনে করে খুন ।
দাবী করি মানুষ মোরা, কাজের বেলায় পশু,
পশুর চেয়েও অধম, হতে বাধেনা আর কিছু।
তোমার ওছিলায় যদি কেহ জীবন ফিরে পায়,
দ্বিমত বন্ধু করিও না, তাকে সহায়তায়।
মানুষ তুমি, তোমার উপর আর যে কেহ নাই,
তোমার দ্বারা কষ্ট পাবে, কেন তোমার ভাই।
ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে, আছে অনেক ভ্রষ্ট,
রক্তের বাধন ছিন্ন করে চালায় তারা অস্ত্র।
এ দুনিয়ায় আর কত দিন করবা বাহাদুরী,
কখন যেন ঘাটে তুমার ভিড়বে এসে তরী।
শেষ খেয়াতে পার হইতে, আছেনি ভাই ভাড়া ?
নইলে কিন্তু পারঘাটাতেই পরবে তুমি ধরা।
একবারও কি ভাবছ তুমি, দিয়া তোমার মন,
কোথা হতে আসলে তুমি, কোথায় প্রত্যর্পণ।
ভাবতে আমার অবাক লাগে, শোনরে বলি শোন,
মানুষ হয়ে আরেক মানুষ কেমনে করে খুন ।
আর কতকাল খেলবা তুমি ভবের পুতুল খেলা,
পশ্চিমে তাকিয়ে দেখ ডুবছে তোমার বেলা।
তাইতো বলি বন্ধু সকল, করোনা আর অহংকার,
এক দিন তোমার সকল কিছু হবেই চূরমার ।
সময় থাকতে হুঁশিয়ার, কর তোমার মন,
নইলে কিন্তু ছাড়বেনারে প্রভু চিরন্তন।
ভাবতে আমার অবাক লাগে, শোনরে বলি শোন,
মানুষ হয়ে আরেক মানুষ কেমনে করে খুন।
মোহাম্মাদ সাহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী )
মেইল_ Sahidul_77@yahoo.com
H/P_6584027281
মা গো তোমার সম্মান

মা গো তোমায় নিয়ে গাইব আমি গান।।
কত কবি তোমায় নিয়ে লিখছে কিবিতা,
তোমায় নিয়ে গান গেয়েছে কত গায়ক-গায়িকা,
আমি কীভাবে করিব মা গো তোমার সম্মান,
মা গো তোমায় নিয়ে গাইব আমি গান।।
গর্ভে থাকতেই মাগো তোমায় দিছি কত জ্বালা,
আমার কথা ভেবে মাগো জ্বালাকে করেছ মালা,
মাগো আমি কি আর দিতে পারব, মা গো……
ও… আমার মা, তোমার জ্বালার যোগ্য প্রতিদান,
মা গো তোমায় নিয়ে গাইব আমি গান।।
তোমায় মৃত্যু সম কষ্ট দিয়ে ত্রিভুবনে আসি,
সিন্ধু তুল্য ব্যথা ভুলে, মুখে তোমার হাসি,
মাগো তোর হাসিতে হাসে বিশ্ব, হাসে রহমান,
আমি কীভাবে করিব মা গো তোমার সম্মান,
মা গো তোমায় নিয়ে গাইব আমি গান।।
অসুখ হলে মাগো আমার শিথানেতে বসি,
তন্দ্রাহীন করেছ পার দিবসের পর নিশি,
আমার জন্যে বিধির তরে সঁপে দিছ প্রাণ,
এই ঋণ কি আর শোধ হবে মা গো……
ও….. আমার মা…., ও… আমার মা…
এ ঋণ কি আর শোধ হবে গো থাকতে আমার জান
আমি কীভাবে করিব মা গো তোমার সম্মান
মা গো…… ও….. আমার মা….,
ও…….. ও………. আমার মা……
মোহাম্মাদ সাহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী )
মেইল_ Sahidul_77@yahoo.com
ইসলামের প্রিয়জন

তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না,
নবীর ওয়ারিশ আলেমগণ, ইসলামের প্রিয়জন,
তাদের মনে তোরা ভাইরে, কষ্ট দিস না,
হায়রে কষ্ট দিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
কিছু আলেম এ সংসারে হয়েছে জালেম,
দুনিয়ার মোহে পড়িয়া হারায়েছে এলেম।
কিছু পথভ্রষ্টের গ্লানি তোরা সবাইকে দিস না,
ওরে সবাইকে দিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
যুগে যুগে আলেম-আউলিয়া হয়েছে গত,
কত বীর-বাহাদুর তাদের কাছে মাথা করছে নত,
তাদের গায়ে ভাইরে তোরা, কলঙ্ক দিস না,
তোরা কলঙ্ক দিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
বিশ্বে আজি আলেম-ওলামা দেখ শত শত,
ইসলামের জন্য জীবন তারা দিচ্ছে অবিরত।
তাদের নিয়ে কভু ভাইরে বিদ্রুপ করিস না,
ভাইরে বিদ্রুপ করিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
হজরত ইসা (আঃ), বলে কুমবি ইজনিল্লাহ,
সহস্রাব্ধের গতকে যিনি করেছেন জিন্দা,
সেই নবীর ওয়ারিশানদের তোরা নিন্দা করিস না,
তোরা নিন্দা করিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
যারা দ্বীন কায়েমে যুগে যুগে হয়েছে শহীদ,
যারা যুগ জিজ্ঞাসার জবাব দানে ফকিহে মুজতাহিদ,
তাদের উত্তরসূরি আলেম সমাজকে ঘৃণা করিস না,
তোরা ঘৃণা করিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
সাড়ে নয়শ’ বছরের দুঃসহ জুলুম যিনি করেছেন গত,
আঃ গাফফার নবী, নুহ নামে যিনি হলেন বিভূষিত,
ইতিহাস হয়ে থাকলেন যিনি, আলেম-ওলামা তারই উপমা,
তোরা তাদেরকে ভাই, ত্রপা করিস না,
হায়রে ত্রপা করিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
রানী বিলকিস যাহার কাছে মাথা করেছে নত,
যিনি ইঞ্জিনবিহীন সুপারসনিকে চলছে অবিরত,
সেই সুলায়মান(আ.) এর উত্তরসুরি, আলেম-ওলামা,
তাদের নিয়ে তোরা ভাইরে ব্যঙ্গ করিস না,
ভাইরে ব্যঙ্গ করিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
সপ্ত আকাশ, আরশ কুরসী, মাকামে মাহমুদ ভেদ করি
কাবা কাউসাইন গেছেন যিনি, নূরজগত দিয়ে পাড়ি,
যিনি মদিনার তাজ, নূরে মুজাস্সাম,
তিনি রূহে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম,
তার যোগ্য ওয়ারিশ, আমাদের আলেম-ওলামা,
আমার নবীর ওয়ারিশানদের কেউ কলঙ্ক দিস না,
তোরা কলঙ্ক দিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
তাইতো বলি শোন, ওলীর সাথে থাক যদি এক মুহূর্ত,
পর্বত-সম মন তোমার হবে মমের মত,
সেই ওলি-আউলিয়া, আলেম-ওলামাদের হেনস্থা করিস না,
তোরা হেনস্থা করিস না।
তোরা আলেমদের কে জালেম বলিস না।।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
Sahidul_77@yahoo.com

ওরে ও বেকুবের দল,
তোদের কি আছে হায়রে নুন্যতম জ্ঞান,
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বানী, কোরান পুড়লি ক্যান।
ওরে ও বেহুঁশের দল,
তোদের কি আর আছে হায়রে নুন্যতম হুঁশ
কেঊ যদিও অন্যায় করে, কোরানের কি দোষ।
ওরে ও গবেটের দল,
দাড়ি রেখে টুপি পড়লেই হয় কি মুসলমান!
মুসলিম হলে তোরা কি আর পুড়াইতি কোরান?
ওরে ও গাড়লের দল,
তোদের কি আর এ জীবনে জ্ঞান হবে না!
বিধর্মীরা কোরান বুঝে তোরা বুঝলি না।
ওরে ও নির্বোধের দল,
জেনে রাখিস তোরা, এটা নয় তো সহজ পুড়া,
লক্ষ-কোটি হাফেজের মনে আছে এটি ভরা।
ওরে ও গর্দভের দল,
বাহাদুরি আর ছলচাতুরী যতই করিস তোরা,
আল্লাহ্, স্বয়ং নিজে করবে কোরানের প্রহরা।
(গত ০৫/০৫/২০১৩ তারিখে হেফাজতে ইসলামের ডাকা সমাবেশে ইসলামের শত্রুরা কোরান শরীফ সহ বইয়ের দোকান পুড়িয়ে দেয়_ তারা যেই দলেরই হোক না কেন, তার প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের এবং কোরান অবমাননা কারীদের শাস্তির দাবিতে আমার এ কবিতা।)
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
Sahidul_77@yahoo.com
আমার হৃদয় মন্দিরে

অতর্কিতে সে দিন তুমি
বললে যখন এসে,
তোমায় আমি পাগলী নাকি
করছি মিষ্টি হেসে।
এই দুষ্টু মেয়ে,
বলনা এমন করি,
অমন করে বললে আমি
লাজে যাই যে মরি
তুমিও কি আমার চেয়ে
একটু খানিও কম,
আমি তো দেখি তুমি একটা
হৃদয় চুরির যম।
যতই তুমি বল আমায় হিরো,
আমি কিন্তু তোমার কাছে জিরো,
যখন আমায় বল তুমি
আমার জানের জান
আমি কি আর আমার
থাকি, উতলা হয় প্রাণ।
চুপি চুপি যখন এসে
আমায় তুমি কও,
এখন থেকে, তুমি নাকি,
আমার সনা বউ।
এমন করে সখি তুমি,
আর বল না গো মোরে,
তোমায় আমি রাখব
আমার হৃদয় মন্দিরে।
এখন আমি আছি শুধু
অপেক্ষাতে বসে।
আসবে কবে আমার ঘরে,
তুমি বধূ বেশে।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
এখনো তোমার অপেক্ষায়

বিজন,
খুব জানতে ইচ্ছে করছে,
তুমি কেমন আছো?
আমি জানি আমার এ লেখা,
হয়ত বা কোন দিন দেখবে না।
তবু আমার এই অবুঝ মনকে
বুঝিয়ে রাখতে পারিনা।
বিজন,
আমার রক্তে মাংসে
নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে শুধু তুমি আর তুমি,
কি কিরে তোমায় ভুলব, বল?
আমার মধ্যে আমি বলতে
কিছুই অবশিষ্ট নেই, সবই শুধু তুমি,
শুধু তুমি আর তুমি।
বিজন,
আমার খুব করে মনে পড়ছে,
তুমি (MRT) মেট্রো রেলে কাজ করতে,
প্রতিদিন অফিসে যাবার সময় দেখা হত
তুমি আমার দিকে অপলক নেত্রে তাকিয়ে থাকতে,
আর আমি তুমাকে পাত্তাই দিতাম না!
তবু কেমন করে, কখন যেন
আমার রক্তের সাথে মিশে গেছ
বুঝতেই পারিনি!
বিজন,
সেই স্মৃতি মনে পড়ে,
চোখে আনান্দ অশ্রু ঝরে,
যে দিন হারিয়ে গিয়েছলাম
দুজন দুজনাতে, এক অজানাতে,
মনের অজান্তেই হয়েছিল দুজনার মিলন।
বিজন,
এক সাইক্লোনের কথা মনে পড়ছে
যে সাইক্লোন শুরু হয়েছে কিন্তু
শেষ কোন দিন হবে কি না আমার জানা নেই।
যে দিন তোমাকে বলেছিলাম
বিজন,
আমি তোমার অস্তিত্ব আমার
দেহে বহন করে চলছি।
আমি তোমাকে বলেছিলাম,
তুমি তোমার বসকে,
আমাদের বিষয়টি খুলে বল।
এর পরের দিন থেকে বেশ কিছু দিন
তোমার খবর ছিলনা।
একদিন হঠাৎ একটি ফোন নম্বর থেকে
আমার নাম্বারে ফোন আসে,
আমি ফোন রিসিভ করি
তুমি শুধু এটুকুই বললে
লিলি,
আমার কোম্পানি আমাকে
বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে, আমাকে
ক্ষমা করে দিয়ো, জীবনে আর কখনো
তোমার সাথে দেখা হবে না।
বিজন,
এই সাইক্লোন এখনো আমাকে
ক্ষত-বিক্ষত করে চলছে_____
রক্তাক্ত করে চলছে আমার হৃদয়কে______
এ সাইক্লোন কি থামার মত বিজন?
বিজন,
আমি অনেক চেষ্টা করেছি
ঐ নাম্বারে, কিন্তু নাম্বারটি ছিল
একটি টেলিকম শপের,
তারা তোমার কোন ঠিকানা দিতে পারেনি।
আমি গিয়েছি তোমার কোম্পানির কাছে,
তারা বলেছে, সিঙ্গাপুরের আইনে
কোন (ভিসা)WP ধারীকে
কোন সিঙ্গাপুরিয়ান বিয়ে করতে পারে না।
বাধ্য হয়েই তারা তোমাকে
দেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
বিজন,
আমি তোমার জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের কাছে,
তোমার নাগরিকত্বের জন্য
আবেদন করে রেখেছি।
তুমি চলে এসো আমার কাছে।
আমি এখনো তোমার অপেক্ষায়,
তোমার জন্য আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত
অপেক্ষা করব।
মৃত্যুর আগেও যদি একনজর তোমায়
দেখে যেতে পারি তবু আমি শান্তি পাব।
বিজন,
তুমি ছাড়া আমার বেঁচে থাকা
আর না থাকা সমান কথা,
তবু বেঁচে আছি, কেন জান?
তুমি আমাকে যে অস্তিত্বের জানান
দিয়ে গিয়েছিলে, ও এখন
পাঁচ বছরের ছেলে।
অন্তত ওর জন্য হলেও
আমাকে বাঁচতে হবে।
কিন্তু বিজন,
ও যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে
ওর বাবা কোথায়, তখন
আমি তাকে চোখের অশ্রু ছাড়া
আর কিছুই দিতে পারিনি।
ইতি
তোমার
লিলি বিজন
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম
Sahidul_77@yahoo.com
(সিঙ্গাপুরের একটি মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত, বাংলাদেশী ছেলে এবং চাইনিজ মেয়ের বাস্তব প্রেমের কাহিনী অবলম্বনে, আজকে আমার এ গদ্য কবিতার আয়োজন। উল্লেখ্য এখানে আমি ওদের ছদ্ম নাম ব্যবহার করেছি।)

আমি মৃত্যু পথ-যাত্রী শাহিনুর বলছি,
শোনছ কি কেউ মোর কান্নার সুর?
আমি যে মরন শিখায় জ্বলছি,
যেতে বুঝি হবে আমার অচিনপুর।
তারাতারি মুক্ত কর আর যে দেরি সয়না,
আমার জন্যে কাঁদছে বুঝি আমার সোনার ময়না।
দেড় বছরের বাবু আমার, রেখে এসেছি ঘরে,
আমায় ছাড়া বাবু আমার থাকবে কেমন করে।
তোমরা বুঝি শেষ রক্ষা করতে পারলে না,
আমার বুঝি এসে গেছে শেষ পরোয়ানা।
এই বুঝি দেহ থেকে যাচ্ছে আমার প্রাণ,
এক মুহূর্ত, দেখতে মন চায় আমার বাবুর মুখ খান।
এমন ভাগ্য রেখেছিল মোর আপে পরোয়ারে,
অবুঝ বাবু, আমার ছাড়া থাকবে কেমন করে।
প্রভু, যাবার কালে, তোমার কাছে এই মিনতি করি,
বাবুকে মোর সুখে রেখ সারা জীবন ভরি।
বাবু, তোমার জন্য কিছু আমি করতে পারলাম না,
ক্ষমা চাইছি তোমার কাছে হতভাগী মা।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম ( সিঙ্গাপুর প্রবাসী)
Sahidul_77@yahoo.com
(বিগতপ ২৪/০৪/২০১৩ তারিখে, সাভার ট্র্যাজেডির নয়তলা ভবনটি মাথার ওপর পড়ার পরও মরতে মরতে বেঁচে ছিলেন শাহীনা আক্তার। ধসের ৮০ ঘণ্টা পর তাঁকে জীবিত খুঁজে পান উদ্ধারকারী কিছু তরুণ। এর পরের ৩০ ঘণ্টা তাঁকে বাঁচানোর মরণপণ লড়াই করেন স্বেচ্ছাসেবক এবং সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় অপ্রত্যাশিত অগ্নিকাণ্ড। মরণের পূর্বে তার কিছু আকুতি, তার অবুঝ শিশুকে একটি বারের জন্য দেখার যে অভিপ্রায় ছিল সে ঘটনার অবলম্বনে।)
শ্রমিকের চোখে জল

ঐ যে দেখ বড় বড় অট্টালিকা কত,
ঐ যে দেখ টাওয়ার সারি দাঁড়িয়ে আছে যত,
এসব কিছু তৈরিতে যারা ঝরিয়েছে গায়ের ঘাম,
আমরা কি ভাই দিতে পেরেছি তাদের ন্যায্য দাম!
ঐ যে দেখ দূর দুরান্তে
চলে গেছে রাস্তা আঁকাবাঁকা,
ঐ যে দেখ দিবা-রাত্রে
ঘুরছে কলের চাকা,
এসব কিছু তৈরিতে যারা
দিয়েছে তাদের বল,
মহাসুখে মহারাজারা,
শ্রমিকের চোখে জল।
ঐ যে দেখ রাস্তা-ঘাটে চলছে শত গাড়ি,
যার বিনিয়য়ে, স্বল্প সময়ে ফিরছি মোরা বাড়ি,
এসব চলতে খাটছে যারা, সারা দিনমান
আমরা কি ভাই দিতে পারছি তাদের সম্মান!
ঐ যে দেখ দালানকোঠা, ঐ যে দেখ রঙ্গিন বাড়ি,
ঐ যে দেখ যাচ্ছে নারী, গায়ে তাহার রঙ্গিন শাড়ি
এসব শিল্পে অবদান রেখেছে যাদের কারুকাজ,
আমরা কি ভাই দিচ্ছি তাদের ন্যায্য মূল্য আজ!
এই যে দেখ রঙ্গিন পোশাক দিচ্ছি মোরা গায়,
এই পোশাকের কারিগররা দেখ কত অসহায়।
ধ্বংসযজ্ঞ সাভারে যারা হারিয়েছে প্রাণ,
ইতিহাসে থাকবে মোদের নিষ্ঠুরতার প্রমাণ।
সমাজ-সভ্যতার সকল বিনির্মাণ হয়েছে যাদের ত্যাগে,
হাদিস বলে শোধাও ঋণ তার ঘাম শুকানোর আগে।
সৃষ্টির সেরা হয়ে মোরা
হারিয়েছি সকল বুদ্ধি, লাজ
তাইতো বলি ভাই, সময় বেশী নাই,
দেনা-পাওয়ানার হিসাব-নিকাশের সময় এসেছে আজ।
শ্রমিকের স্বার্থ, শোধাও ন্যায্য অর্থ,
শুধু মে দিবসে এটাকে তুমি রেখ না সীমিত,
সুষম-নাজ্য সমাজ, গঠনের সময় নাই বেশী আজ,
সময় থাকতে শোধাও তুমি, তোমার ঋণ আছে যত।
মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম ( সিঙ্গাপুর প্রবাসী)
Sahidul_77@yahoo.com